নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শুরুর ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারিল মিচেল। তবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সামনে যথেষ্ট ছিল না কিউইদের এই সংগ্রহ। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিদের ছন্নছড়া বোলিংয়ের সঙ্গে খাপছাড়া ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিতে হলো কিউইদের। বাবর ও রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো পাকিস্তান। বোল্টের সুইং করা ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাবর। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি ডেভন কনওয়ে। তাতে শূন্য রানেই জীবন পান পাকিস্তানের অধিনায়ক।

জীবন পেয়ে রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন বাবর। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলে তারা। সপ্তম ওভারে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন করা হলেও বাবরকে আউট দেননি আম্পায়ার। তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন উইলিয়ামসন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পের উপর দিয়ে চলে যেতো।
পুরো টুর্নামেন্টে ছন্দে ছিলেন না বাবর। যে কারণে পাকিস্তানের অধিনায়ককে নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার তৈরি হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র জুটি হিসেবে তিনটি শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন বাবর ও রিজওয়ান।
হাফ সেঞ্চুরির পর বাবর আউট হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। বোল্টের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ফলে ৫৩ রানে ফিরতে হয় বাবরকে। এরপর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান রিজওয়ানও। এই উইকেটকিপার ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৬ বলে।
দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৫৭ রান করা এই ব্যাটারকে আউট করেছেন বোল্ট। তাকে সঙ্গ দেয়া মোহাম্মদ হারিস আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন বোল্ট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৫৩ রান করেছেন মিচেল। এ ছাড়া ৪?? রান এসেছে উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।