এমন বোলিং করলে তোমাকে কেউ মারতে পারবে না, এবাদতকে টেলর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নামার আগ পর্যন্ত এবাদত হোসেনের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। তাকে নিয়মিত সুযোগ দেয়ার কারণে অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বহুবার। তবে কিউইদের বিপক্ষে শুধু আস্থার প্রতিদানই দেননি এবাদত, সঙ্গে ইতিহাস গড়া জয়ের দিনের ম্যাচ সেরাও হয়েছেন।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করার দিনে গতির সঙ্গে দারুণভাবে লাইন, লেন্থ বজায় রেখেছিলেন ডানহাতি এই পেসার। যে কারণে এবাদতের বল খেলতে বেগ পেতে হচ্ছিলো কিউই ব্যাটারদের। যার ফলশ্রুতিতে এবাদত মেরে খেলতে বললেও রস টেলর জানিয়েছিলেন, এমন বোলিং করলে তাকে কেউ মারতে পারবে না।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের আগে ১০ ম্যাচে এবাদত পেয়েছিলেন মোটে ১১ উইকেট। তার বোলিং গড় ছিল অনেক বেশি দৃষ্টিকটু (৮১.৫৫)। এমন অবস্থায় প্রথম টেস্টে তার খেলা নিয়েও ছিল শঙ্কা। সুযোগ পেয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেও চোখে লাগার মতো বোলিং করতে পারেনি এবাদত।
সবকিছু বদলে যায় চতুর্থ দিন বিকেলে তার দারুণ এক স্পেলে। মাত্র ৭ বলে ব্যবধানে উইল ইয়ং, হেনরি নিকোলস এবং টম ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন এবাদত। চতুর্থ দিন ৪ কিউই ব্যাটারকে আউট করা এবাদত সুযোগ পেয়েও ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় টেলরকে নিজের ঝুলি বন্দি করতে পারেননি।
যদিও পঞ্চম দিন সকালেই টেলরকে সাজঘরে পাঠিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন। ডানহাতি এই ব্যাটারকে আউট করার পর তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এবাদতকে। এ ছাড়া চতুর্থ দিন বিকেলেও তার কিছু একটা বলতে শোনা যায়। ইএসপিএনক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে সেই কথোপোকথন খোলাসা করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এবাদত বলেন, ‘আমি তাকে (টেলরকে) বললাম তুমি এত ভালো মারতে পারো, আমাকে মারছো না কেন? বললেন, 'ভাই, এই পিচে এমন বোলিং করলে কেউ মারতে পার???ে না।’