ল'য়ের সাক্ষাৎকার

প্রস্তাব পেলে আবারও বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহী: ল

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 17:14 সোমবার, 15 নভেম্বর, 2021

|| আবিদ মোহাম্মদ, দুবাই থেকে ||

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি, ব্যাটারদের ব্যর্থতা, গেম প্লানে ঘাটতি, ফিল্ডারদের একের পর এক ক্যাচ মিস- সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগেছে পালাবদলের হাওয়া। বাতাসে গুঞ্জন পুরো কোচিং প্যানেলকেই ঢেলে সাজাতে চায় বিসিবি। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না। পাকিস্তান সিরিজে এই পদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে মিজানুর রহমান বাবুলকে। এর আগে দেশ সেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের চাকরিও নড়বড়ে। নতুন কোচ খুঁজে বের করতে বিসিবি পরিচালকদের নাকি দেয়া হয়েছে দায়িত্ব।

বারবারই বলতে শোনা যায় অচেনা আর কোন কোচ নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট সংস্কৃতি বোঝেন এমন কাউকে এবার প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চাইছে বিসিবি। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ল'র। ২০১১ বিশ্বকাপের পর দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেও এক বছর কাজ করেই পারিবারিক কারণে চাকরি ছেড়ে চলে যান। ৫ বছর পর তিনি আবারো বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ২০১৬ যুব বিশ্বকাপের আগে তিনি দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উপদেষ্টা হিসেবে।

বিসিবির চাওয়ার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় যদি ল'কে প্রস্তাব দেয়া হয় আবারো বাংলাদেশের ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে তাহলে কি করবেন তিনি? বর্তমানে আবুধাবি টি-টেন লিগের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ল। ক্রিকফ্রেঞ্জিকে এক দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন আবারও বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হলে নেবেন গুরুত্বের সঙ্গেই। পুরোনো শিষ্যদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ লুফে নিতে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।

পাঠকদের সুবিধার্থে পুরো সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: জাতীয় দল, টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোচিং করিয়েছেন। এবারই প্রথম একটি ভিন্ন ফরম্যাটে (টি-টেন) কোচিং করাবেন কেমন লাগছে বা এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?

স্টুয়ার্ট ল: অভিজ্ঞতা বলতে গেলে এখন পর্যন্ত তেমন নেই। কারণ আমি মাত্রই এসেছি। শীঘ্রই আবুধাবি যাব, সেখানে বায়ো-বাবলে (জৈব সুরক্ষা বলয়) থাকতে হবে। তখনই বুঝতে পারব আসলে হচ্ছে কী। সঙ্গে খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা হবে, তাদের সম্পর্কেও জানতে পারব। পরবর্তী কয়েকদিন তো খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জানতে জানতেই পার হয়ে যাবে। তবে এই চ্যালেঞ্জের জন্য আমি মুখিয়ে আছি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
মাত্রই বললেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে। এই বলয়ে থাকা যে কারও জন্যই কঠিন হয়ে যায়। একজন খেলোয়াড়ের জন্য কতখানি কঠিন আসলে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ২২ গজে পারফর্ম করা?

ল: বলয়ের কথা যদি বলতে হয় এটা আমার জন্য প্রথম হবে। এই অভিজ্ঞতা আমার আগে হয়নি। তবে আমার দলে অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা নিয়মিত বলয়ে থেকে আসছে। ওদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে আমার, বুঝতে হবে আসলে কী হয় না হয়। বাবলে মানিয়ে নিতে ওদের পরামর্শ আমার কাজে আসবে। আর আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে পুরো বিশ্ব থেকেই এসেছে। সময় ছোট হলেও সবার সাথেই তো কথা হবে, চেনা-জানা হবে... পরিচিত বাড়বে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সম্পর্কে জানা যাবে। এছাড়া যারা তরুণ আছে তারাও অভিজ্ঞদের থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
এবারই প্রথম এই ফরম্যাটের সাথে যুক্ত হয়েছেন। ক্রিকেটের অগ্রগতির ক্ষেত্রে এই ফরম্যাটকে কিভাবে দেখছেন?

ল:
কোচ হিসেবে আমার জন্য প্রথম হলেও আমি দূর থেকে এই ফরম্যাটের খেলা দেখেছি। টেলিভিশনের পর্দায় আরকি। এখন কাছ থেকে এটাকে দেখতে পারব, বুঝতে পারব, পর্যালোচনা করতে পারব। কাছ থেকে দেখে হয়তো অনেক ধারনাই বদলে যাবে যে খেলাটা কিভাবে পরিচালিত হয়। আর ভিন্ন ফরম্যাট যেহেতু আমার জন্যও একটা সুযোগ নতুন কিছু করার। একটা খেলা ৯০ মিনিটে কিভাবে শেষ হয় তাও আবার ক্রিকেট ম্যাচ এটা ভালোভাবে বুঝতে পারব। বলতে পারেন ফুটবলের প্রতিযোগী হিসেবে এই টুর্নামেন্টটিকে ধরা যেতে পারে। কম সময়ের খেলা দেখেই হয়তো অনেককেই তা আকর্ষিত করবে। তবে এই ফরম্যাটটি যদি সাফল্য পায় তাহলে আমাদের জন্যও ভালো। ধরেন কমনওয়েলথ গেলস বা অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত করা গেলেও যেতে পারে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এবার একটু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে যেতে চাই। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে কেমন দেখলেন এবং এই খারাপ সময়টা থেকে বের হয়ে আসার পথটা কী?

ল:
দেখুন, খেলার মাঠে এমনটা হতেই পারে। ক্রিকেটে কে জিতবে কে হারবে তা তো বলা যায় না কোনোদিন। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বলা তো আরও মুশকিল। দেখেন কাগজে-কলমে সেরা দলও কিন্তু মাঠে হেরে যায়। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতার জন্য অনেক সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু তারা এই বড় সুযোগগুলো ঠিকভাবে লুফে নিতে পারেনি। বড় দলের বিপক্ষে আপনি সবসময় সুযোগ বেশি পাবেন না, তবে যখনই পান তখন সেটাকে লুফে নিতে হবে। তবে আমার মনে হয় না বাংলাদেশকে এতো গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। মাঝেমাঝে আপনাকে ক্রিকেটটাকেও বুঝতে হবে, হয়তো ঈশ্বর আপনার দিকে সেভাবে তাকায়নি এবার।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এখানে আসার আগে বাংলাদেশ যেমন উইকেটে খেলে এসেছে তেমন উইকেট পায়নি। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পরও তারা সুপার টুয়েলভে একটি ম্যাচও জেতেনি। আপনি তো বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছিলেন, কাছ থেকে সবই দেখেছেন। বিশ্বকাপে ভরাডুবির মূল কারণ কী তাহলে দেশের উইকেটই নাকি অন্য কোন কারণ?

ল:
আপনি যখন এমন ধরণের টুর্নামেন্ট খেলতে আসবেন তখন তো ঘরের মতো উইকেট পাবেন না। এখানে অনেক দলই খেলতে আসে তো সব দলের কথা মাথায় রেখেই উইকেট বানিয়ে থাকে আইসিসি। তাই এমন টুর্নামেন্টগুলোর আগে এসব মাথায় রেখেই এমন ধরণের উইকেটে যতবেশি খেলা যায় তা দলের জন্য মঙ্গলজনক। যেন সবাই যার যার ভূমিকাটা বুঝতে পারে এবং এমন টুর্নামেন্টে এসে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: মাত্রই বললাম অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে এসেছিল। কিন্তু সবার আগে বাড়ি ফিরেছে, যাদের হারিয়েছে তারা ফাইনাল খেলেছে। ম্যাথিউ ওয়েড সেই স্কোয়াডে ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক আলোচনাও হয়েছে তাকে নিয়ে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা ভিন্ন এক ওয়েডকে দেখেছি। তার ক্যারিয়ার জুড়েই অনেক উঁচু-নিচু সময় গিয়েছে, তবে সেমিফাইনালে এই ওয়েডকে দেখার আশা করেছিলেন?

ল:
দেখুন এমন তো না যে শুধু ওয়েড একা পারফর্ম করেনি। পুরো দলই বাংলাদেশে পারফর্ম করতে পারেনি। তবে ওয়েডের ব্যাপারে আমি বলব সে একজন যোদ্ধা। খারাপ-ভালো দুটির মধ্য দিয়েই সে গিয়েছে, জাতীয় দলেও আসা যাওয়ার মাঝে ছিল। এখন ক্যারিয়ারের অন্তিম মুহূর্তে আছে এটা সেও জানে। তাই এই সময়ে এমন একটা ইনিংস ওর ক্যারিয়ারের জন্য বড় কিছু হয়ে থাকবে। আমি নিশ্চিত সে তার নিজের পারফরম্যান্সে অনেক গর্বিত।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
ওয়েড ছাড়াও আরেকজন উইকেটরক্ষক আছেন যিনি আলোচনার মধ্যে থাকেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন। এখন পর্যন্ত তার নেতৃত্বে যেমন সফল হয়েছে দল, তেমন ব্যর্থতার স্বাদও পেয়েছে। অধিনায়ক পেইনকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

ল:
টিম অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য অসাধারণ কিছু করেছে। পুরো দলকে একটা গর্ত থেকে সে বের করে নিয়ে এসেছে। সে খুব শান্ত স্বভাবের এবং বুদ্ধিমান। যেমনটা একজন অজি অধিনায়কের হওয়া দরকার। তবে সে ভালো কাজ করেছে। এখন নেতৃত্ব নিয়ে তো অনেক আলোচনাই হচ্ছে, আর পেইনও ক্যারিয়ারের শেষ দিকে আছে। সে যদি মনে করে এটাই নেতৃত্ব ছাড়ার সঠিক সময় হয়তো সে সেটাই করবে। এটা সম্পূর্ণ টিমের সিদ্ধান্ত। তবে অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য সে অনেক ভালো কাজই করেছে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
একটু আবারও বাংলাদেশ দলের দিকে ফিরতে চাই। ক্রিকেট বোর্ডে আলোচনা চলছে নতুন কোন কোচকে নেয়ার। আপনি এর আগে কাজ করেছেন, সবকিছু সম্পর্কে জানেন। আপনাকে প্রস্তাব দিলে কী করবেন?

ল:
দেখুন, প্রস্তব যদি আসলেই আসে তাহলে আমি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। আমি এটা দেখতে যাব না এখান থেকে আমি কি পাচ্ছি, তবে পুরনো সবার সঙ্গে আবারও কাজ করার সুযোগটা আসবে এবং তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা কতখানি উজাড় করে দিতে পারে। কয়েক বছর আগে আমি দেশটির যুব দলের সঙ্গেও কাজ করেছি, তারা খুবই পরিশ্রমী এবং ভালো খেলতে আগ্রহী। বিসিবির তরফ থেকে এমন কোন প্রস্তাব এলে আমি পরিবারের সঙ্গে বসব, আলোচনা করব। ভেবে চিন্তেই হয়তো ইতিবাচক কোন ফলাফল জানাব।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
তাহলে কি বলতে পারি, যে আপনি বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহী বা বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসেবে নেবেন?

ল:
আমি মানুষটাই ইতিবাচক। বিষয়টা এমন হবে আমার জন্য চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। আর এখন যেহেতু আমি কোন কিছুর সঙ্গে তেমনভাবে সম্পৃক্ত নই তাই হয়তো আমি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাব।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বাংলাদেশকে কোচিং করানোকালীন সবচেয়ে সুন্দর ও সুখকর স্মৃতি কোনটা আপনার?

ল:
এক কথায় বললে ২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনাল। আমাদের সেটা জেতা উচিৎ ছিল। সেবার আমরা ভারত-শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ছিলাম। এমনকি পাকিস্তানকে দুইবার হারানো উচিৎ ছিল। এটা তাহলে অনেক অসাধারণ স্মৃতি হতো। তবে আমি এখনও শুনি বাংলাদেশের সবাই তা নিয়ে কথা বলে। খুব ভালো লাগে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
২০১২ থেকে ২০২১ এই নয় বছরে কতখানি পরিবর্তিত লেগেছে বাংলাদেশ দলকে বা কী কী পরিবর্তন চোখে পড়েছে আপনার?

ল:
পরিবর্তন বলতে যেটা দেখেছি তা খেলোয়াড়দের মাঝে বেশি। তারা এখন আরও বেশি গুরুত্বের সাথে খেলে। আরও ফিট থাকে এবং পুরো দলটা শক্তিশালী মনে হয়েছে। এই বিশ্বকাপে না হলেও বড় মঞ্চে তারা নিয়মিত পারফর্ম করছে। সামনে এগিয়ে যেতে অনেক ভালো ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এখন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পালা। অনেক তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে তাদেরকে দেখভাল করতে হবে। তাদের সঠিক পর্যালোচনা করলে আরও ভালো দিকে যাবে আশা করি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি:
সম্প্রতি নতুন এক আলোচনা উঠে এসেছে বাংলাদেশ দলে পাওয়ার হিটার নেই। কিভাবে একজন পাওয়ার হিটার তৈরি করা সম্ভব বা খুঁজে বের করার উপায় কী?

ল:
এটা আসলে রাতারাতি হবে না। এমন না যে আপনি জিমে গেলেন আর হয়ে গেল। এটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে আগাতে হবে। সঠিক ডায়েট, সঠিক ট্রেনিং এবং সঠিক শারীরিক পরিচর্যা করতে হবে। অনেকের আবার এটা এমনেই থাকে আবার অনেকের থাকে না। হয়তো বাংলাদেশকে ভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে হবে। আপনি হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মতো পাওয়ার হিট করতে পারবেন না কিন্তু অন্য পথে আপনাকে এগুলো বের করে আনতে হবে। কারণ ওরা অনেক শক্তিশালী হয়। আমাকে যদি বলতে বলা হয় তাহলে আমি বলব মাহেলা জয়াবর্ধনেকে দেখতে। ছোট মানুষ কিন্তু পুরো মাঠেই রান করতে সক্ষম এবং টাইমিংয়ে বিশ্বাসী।