|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পারফরম্যান্স দিয়ে আলো ছড়াতে না পারলেও সংবাদ সম্মেলনে এসে সমর্থকদের কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে সমালোচনার মূখে পড়েছিলেন। পেইন কিলার খেয়ে খেলার উদাহরণ দেয়ায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সমালোচনা করে ধুয়ে দিয়েছেন সমর্থকরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার দিনে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানালেন, আবেগি হয়েই এমন উত্তর দিয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশা জাগানিয়া নয়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে সুপার টুয়েলভে খেলা নিয়েও শঙ্কায় পড়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে মূল পর্বে খেলার টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কটিশদের বিপক্ষে হারার পর প্রকাশ্যে বাংলাদেশ দলের সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সমালোচনা করতে ছাড়েননি ভক্ত-সমর্থকরাও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা গণমাধ্যম, সব জায়গাতেই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। যা ফেসবুক থেকে পৌঁছে গেছে দলে থাকা ক্রিকেটারদের কানেও। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পেইন কিলারের উদাহরণ দিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
যা নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে সমালোচনা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহর সেই সংবাদ সম্মেলনের রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মুশফিক। যেখানে তিনি সমালোচনাকদের আয়নায় মুখ দেখতে বলেছিলেন। বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার দিনে নিজের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে মাহমুদউল্লাহ জানান সেটি কেবলই আবেগি হওয়ার কারণে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কথা যেটা বললেন, বিশেষ করে আমি বলছি সম্ভবত আমি আবেগি হয়ে এমন উত্তর দিয়েছি। সমালোচনা সবসময়ই হবে, আমি কখনোই বলিনি যে সমালোচনা হবে না। সমালোচনা হবে এবং এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কারণ দেশ ও দলের জন্য পারফর্ম করা আমাদের দায়িত্ব।
বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যখন আপনি করবেন না (পারফর্ম) তখন আপনাকে সমালোচিত হতে হবে। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থাকে। অনেক কিছু অনেক সময় বুঝি আবার হয়তো ইগনোরও করি। ওমানের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম সেটা আমি আবেগি হয়ে বলেছিলাম। অনেক সময় আমার ভেতর অনেক আবেগ করে।