আইপিএল

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য মুস্তাফিজের আইপিএল খেলাই ভালো: হার্শা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:23 বুধবার, 24 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আইপিএলে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে মুস্তাফিজুর রহমানের। আর মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে বাঁহাতি এই পেসারের সামনে। মূলত জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলানোর জন্য মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনছে বিসিবি। যদিও হার্শা ভোগলের মতে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে খেললেই প্রস্তুতি ভালো হতো হার্শার।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশে ফেরার আগে ১লা মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলবেন মুস্তাফিজ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনাপত্তি পত্র দেয়া হলেও পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলার জন্য মুস্তাফিজকে একদিন ছুটি বাড়িয়ে দেয় বিসিবি।

পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে পরদিন বাংলাদেশে আসবেন মুস্তাফিজ। এরপর ৩ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে যোগ দেবেন বাঁহাতি এই পেসার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে কয়েকদিন বিরতি থাকলেও তাকে আইপিএল খেলতে পাঠাবে না বিসিবি।

মূলত বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার আগে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিতে চায় তারা। মুস্তাফিজকে সতেজ রাখার জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। কয়েকদিন আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, আইপিএল থেকে মুস্তাফিজুর রহমানের কিছুই
শেখার নেই। বরং ভারতের অনেক (তরুণ) ক্রিকেটারই তার কাছ থেকে শিখবে। এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন হার্শা।

তিনি বলেন, 'মুস্তাফিজুর রহমান ১ মে আইপিএল ছেড়ে চলে যাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিরেক্টর বলেছে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য বেশি ভালো। ডোয়াইন ব্রাভো যখন পাথিরানাকে শেখাবে তখন ফিজ খুব বেশিদিন থাকবে না। ধোনি এবং ফ্লেমিংয়ের সঙ্গটা অন্য রকম ব্যাপার।'

'বাংলাদেশের ক্রিকেট ডিরেক্টর যা কোট করেছে তা আশা করি মিথ্যা হবে। কারণ সে বলেছে আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তখনই প্রশ্নটা উঠছে কোথায় তাহলে তার জন্য ভালো। আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারট। আসলে বাংলাদেশের সিস্টেমটা ঠিক করতে হবে। এখানে খেলাটা মুস্তাফিজের জন্য খুবই ভালো। কারণ এখানে সে দারুণ বোলিং করছে।'

চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে বল হাতে সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে মুস্তাফিজের। লক্ষ্ণৌ সুপার কিংসের বিপক্ষে বাজে দিন পার করলেও ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চার নম্বরে আছেন বাংলাদেশের এই পেসার। চেন্নাই একাদশের নিয়মিত সদস্য তিনি।