টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১

এই বিশ্বকাপই আমাদের সামর্থ্য প্রমাণের সেরা মঞ্চ: মাহমুদউল্লাহ

আবিদ মোহাম্মদ

আবিদ মোহাম্মদ
প্রকাশের তারিখ: 20:46 রবিবার, 26 সেপ্টেম্বর, 2021

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ। মাসখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েই আরব আমিরাত ও ওমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য মনে করছেন, নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের জন্য এই বিশ্বকাপই বাংলাদেশের জন্য সেরা মঞ্চ। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রণে গঠিত দল নিয়ে তাই বড় স্বপ্নই দেখছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপ সামনে রেখে ‘ক্রিকফ্রেঞ্জি‘ কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে টি-টোয়েন্টি দলপতি কথা বলেছেন বাংলাদেশের শক্তিমত্তা, সম্ভাবনা, বোলিং বিভাগসহ একাধিক বিষয় নিয়ে। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো এবারও লাল-সবুজের দলটির তুরুপের তাস সাকিব আল হাসান। 

ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-  

ক্রিকফ্রেঞ্জি: সব অধিনায়কেরই নেতৃত্ব দেয়ার একটা ধরন থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা দেখা গিয়েছে।  বিশেষ করে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে। যেটা আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখেছি। সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজেও সেটা দেখেছি। পাওয়ার প্লে'তে অন্তত ৩-৪ জন বোলার ব্যবহার করা, বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে আপনি প্রথম ৩ ওভারে ৩ স্পিনারকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন পঞ্চম বা ষষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজকে নিয়ে এসেছেন বা অন্য কোন পেসারকে দিয়েছেন। বিদেশেও একই ধরণ তবে পেস এবং স্পিনের মিশ্রণ থাকে। ব্যাটসম্যানকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলতেই কি এমন পরিকল্পনা?

মাহমুদউল্লাহ: আসলে প্যাটার্নের (ধরন) কিছু নেই। যে মুহূর্তে আমি মনে করি যে এই বোলারকে আনা প্রয়োজন তখনই সেই বোলারকে আনার চেষ্টা করি। অবশ্যই প্রথম ওভার বা দ্বিতীয় ওভার কিংবা তৃতীয় ওভার না, বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে কিভাবে ওই ওভারগুলো ম্যানেজ করবো এবং একই সময় কখন আমার বা দলের উইকেট দরকার, কখন কাকে ব্যবহার করলে ওই উইকেটের অপশনগুলো বের করা যায় সেগুলো তো অবশ্যই চিন্তা ভাবনা থাকে। কিন্তু চেষ্টা করি সবসময় কন্ডিশন বিবেচনায় যে জিনিসটা করা প্রয়োজন দলের জন্য সেটাই করার চেষ্টা করি। 

ক্রিকফ্রেঞ্জি: পাওয়ার প্লে'তে এমন পরিকল্পনার কারণে দল হিসেবে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ, শেষ ৪ সিরিজের পরিসংখ্যান বলছে নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে সফর এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৬ ম্যাচে ২৭ উইকেট এসেছে। বিশ্বকাপেও কি পাওয়ার প্লেতে এই পরিকল্পনা বহাল থাকার সম্ভাবনা আছে? নাকি প্রতিপক্ষ ও উইকেট বিবেচনায় নতুন কিছু দেখা যাবে?

মাহমুদউল্লাহ: দেখুন, ওমান বা আবু ধাবিতে এবং দুবাইতে কন্ডিশন কেমন থাকবে সেটার উপর নির্ভর করবে আমাদের বোলিংয়ের সংমিশ্রণটা কেমন হবে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বোলিং ইউনিটের ওই ভারসাম্যটা আছে এবং আমাদের সব বোলারদের ওপর ওই আত্মবিশ্বাস আছে, যে কোনো বোলার যেকোনো সময় দলের জন্য সেরা সার্ভিসটা দিতে পারবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: শেষ দুটি সিরিজ আমরা অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছি, বড় দলের বিপক্ষে এমন জয় তো অবশ্যই দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কোয়ালিফাইয়ার পর্ব পার হলে আমাদের বেশিরভাগ ম্যাচ উপমহাদেশের দলের সঙ্গে খেলতে হবে। আর উপমহাদেশের দলগুলো বরাবরই স্পিনের বিপক্ষে ভালো। আর আইসিসির ইভেন্টের উইকেট অনেক ক্ষেত্রে স্পোর্টিং হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে গত দুই সিরিজে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্পিনাররা, কিন্তু এখানে কি পেসারদের ওপর দায়িত্বটা বেশি পড়তে পারে কিনা?

মাহমুদউল্লাহ: আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বোলিং ইউনিট যেভাবে বোলিং করছে লাস্ট কয়েকটা সিরিজে। তাই আমরা, বিশেষ করে আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী বোলিং ইউনিটের ওপর এবং হোম কন্ডিশনে যেমন স্পিনারদের দায়িত্বটা বেশি ছিল সেখানে হয়তো বা পেস বোলারদের দায়িত্বটা বেশি থাকবে। আমি আশাবাদী তারা ওই চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত এবং আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস আছে বোলিং ইউনিটের ওপর। বিশ্বাস আছে যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে ভালো বোলিং করতে পারবো।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এখন পর্যন্ত সব দলেরই স্কোয়াড দেয়া শেষ। প্রতিদলেই যারা স্পিনার আছেন সেখানে লেগ স্পিনার ১-২জন আছেন। আমাদের দলে কোন লেগ স্পিনার নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিপ্লব স্কোয়াডে থাকলেও তাকে ম্যাচ খেলানো হয়নি, ওকে কি সেখানে সুযোগ দেয়া যেত কিনা? আর না খেলানোর পেছনে অবশ্যই কম্বিনেশনের একটা ব্যাপার আছে। আর মূল স্কোয়াডে একজন লেগ স্পিনারের অভাববোধ করবেন কিনা আপনি অধিনায়ক হিসেবে।

মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই লেগ স্পিনার একটি কার্যকরী অপশন। কিন্তু স্পিনাররা যেভাবে বোলিং করেছে সর্বশেষ কয়েকটা সিরিজে মেহেদি, নাসুম , সাকিব এবং প্রত্যেক স্পিনার। সবাই ভালো করেছে। যেহেতু ১৫ জনের স্কোয়াড হয়েছে এবং আমাদের চূড়ান্ত স্কোয়াডের যারা স্পিনার আছে তারা সবাই যে কোন কন্ডিশনেই ভালো করতে পারে। আমি আশা করি তারা তাদের সেরাটা দিতে পারবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বিশ্বকাপের দলটা কি আপনার মন মতো হয়েছে? অধিনায়ক হিসেবে যেমন চেয়েছেন তেমন? নাকি দুই একটি জায়গায় একটু ভিন্নতা চেয়েছিলেন?

মাহমুদউল্লাহ: আমাদের বিশ্বকাপ দলটা সবদিক থেকেই বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। ব্যাটিং, বোলিং সব দিক থেকেই ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। চেষ্টা করবো আমরা যেন দলের মাঝে এই ভারসাম্যটা ধরে রাখতে পারি এবং সবাই পারফর্ম করতে পারি।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: শেষবার আমরা যখন দুবাই-আরব আমিরাতে খেলেছি আমরা ফাইনাল খেলেছিলাম (এশিয়া কাপ)। এবারও সেখানে যাচ্ছি, ফাইনালে খেলব কিনা এই প্রশ্নটা করব না, তবে আমরা কতটুকু সুবিধা পাব বলে আপনি মনে করছেন?

মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই দুবাই এবং আবু ধাবিতে আমরা খেলেছিলাম ২০১৮ এশিয়া কাপে। সেখানে আমরা ফাইনাল খেলেছিলাম। সেই ফলাফলটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাস দেবে। টি-টোয়েন্টিতে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। প্রতিটি ম্যাচই ভিন্ন, প্রতিটি ম্যাচের কন্ডিশনই ভিন্ন এবং প্রতিপক্ষও ভিন্ন। তো সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে ম্যাচ বাই ম্যাচ আমাদের সামনে এগোতে হবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: যেহেতু বিশ্বকাপের মঞ্চ তাই সিনিয়র-জুনিয়র সবার ওপর দায়িত্ব সমান থাকবে। শামিম পাটুয়ারি, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলামরা নিজেদের প্রমাণ করেই দলে আছেন। তবে বিশ্বমঞ্চে অধিনায়ক হিসেবে আপনি কি প্রত্যাশা করছেন?

মাহমুদউল্লাহ: দলে যারা সুযোগ পেয়েছে তারা যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম করেই সুযোগ পেয়েছে। সিনিয়র জুনিয়র সবারই অবশ্যই দায়িত্ব থাকবে। এবং দায়িত্ব সবার মাঝে সমানভাগে ভাগ করে দিতে হবে। ইয়াং ট্যালেন্ট যেমন শামিম, আফিফ, শরিফুল সবাই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। আমি আশা করি তারা তাদের সহজাত খেলা খেলে বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: কলকাতায় সুনীল নারিনকে আমরা একটা ভূমিকা পালন করতে দেখেছি (ফ্লোটার), আমাদের দলেও এমন একজন আছেন যিনি এই ভূমিকা পালন করতে পারবেন (শেখ মেহেদি)। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভিন্ন কিছু করতে মেহেদিকে এই ভূমিকা দেয়ার ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা আছে কি? অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমরা তাকে দেখেছি ওপেন করতে, ঘরোয়া ক্রিকেটেও সে নিয়মিত পারফরমার। প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে এমন ভিন্ন কিছু কি দেখা যেতে পারে কিনা?

মাহমুদউল্লাহ: শেখ মেহেদি খুব ভালো একটা অপশন। ও টপ অর্ডারে ব্যাটিং করতে পারবে। আমরা একসঙ্গে খেলেছি, এক দলে খেলেছি। সে খুবই কার্যকরী ব্যাটসম্যান। লোয়ার অর্ডারেও ওর সক্ষমতা ভালো। সে খুবই ভালো অলরাউন্ডার। আশা করি সে তার সেরা খেলাটা বিশ্বকাপেই খেলবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বিশ্বকাপের আগে সাকিব এবং মুস্তাফিজ আইপিএল খেলছে। দুবাই আরব আমিরাতের কন্ডিশন বা উইকেট সম্পর্কে বাকিদের থেকে তারা বাকিদের তুলনায় একটু বেশি অবগত থাকবেন। তারা বেশ কয়েকবারই বলেছে যে তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য লাভ হবে। আপনারও কি তাই মনে হয়?

মাহমুদউল্লাহ: এটা খুব ভালো একটি দিক যে সাকিব এবং মুস্তাফিজ আইপিএলে খেলছে। আমি দোয়া করি, ওরা ওদের দলের জন্য সেরা পারফরম্যান্স করবে। সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই কাজে আসবে যখন ওরা আমাদের সাথে যোগ দেবে। ওরা ওখানকার কন্ডিশন কেমন সেটা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারবে। আশা করি এসব তথ্য আমরা কাজে লাগিয়ে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলার পাথেয় হবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: সাকিব বরাবরই আমাদের জন্য ট্রাম্পকার্ড। সাকিবকে একপাশে রেখে যদি বলা হয় এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ট্রামকার্ড কে এবং কেন?

মাহমুদউল্লাহ: সাকিব অবশ্যই ট্রাম্পকার্ড। টিমে ওর উপস্থিতি দলের ভারসাম্যকে অনেক সমৃদ্ধ করে। যেকোনো দলেই সাকিবের মত ক্রিকেটার গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের হয়ে সে যতবছর খেলছে, ততবছরই অসাধারণ খেলছে। এটার প্রমান ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে আমরা পেয়েছি। কী অসাধারণ পারফর্ম করে ও ওর সামর্থ্য জানান দিয়েছে। আশা করি সে এই বিশ্বকাপে আবারও আমাদের তুরুপের তাস হবে। সে তার ভালো ফর্ম অব্যাহত রাখবে আশা করি। আশা করি সে খুবই ভালো খেলে দেশের জয়ে অবদান রাখবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি নিজেও দুবাই-আবু ধাবিতে খেলেছেন, পিএসএল হোক বা এশিয়া কাপ। পূর্বে সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্যই কাজে আসবে, তবে ব্যক্তিগত ভাবে আপনি নিজের কাছে কতটুকু প্রত্যাশা করছেন? আর ২০১৯ সালে আপনি যখন নেতৃত্ব পান, তখন কি ভেবেছিলেন একদিন বিশ্বকাপের আসরে অধিনায়কত্ব করবেন?

মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই, ওখানকার কন্ডিশনে আগেও খেলেছি। পিএসএল খেলেছি। এশিয়া কাপেও আমরা সেসময় খেলেছি, ২০১৮ তে। অবশ্যই সে অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগবে। আমরা যেই মুহূর্তে যাব, তখন ওখানকার অবস্থা কেমন সেটা জানা দরকার। উইকেটের ধরন কেমন সেটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ওই অনুযায়ী ক্রিকেট খেলতে হবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: এতো বড় মঞ্চে খেলার জন্য অবশ্যই মানসিকভাবে একটা জায়গায় স্থির থাকতে হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে কয়দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। যতদূর জানা গিয়েছে ৬দিন হতে পারে সেটা তাও দুবাই আমিরাতে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে টানা থাকাটা হয়তো অনেকের খেলার ওপর প্রভাব পড়ে আবার পড়ে না। তবে একটা দলের ক্রিকেটারকে মানসিকভাবে একটা স্টেজে বা এক জায়গায় থাকার ক্ষেত্রে কি এই সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা?

মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই 'বায়োবাবল' অনেক কঠিন। কিন্তু আমাদের এটা মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এটা আমাদের নিরাপত্তা ইস্যু। আমি আশা করব এটা বাধা হবে না। এখন আমরা মোটামুটি মানিয়ে নিয়েছি। যাওয়ার আগে বেশ কয়েকদিন আমরা ফ্যামিলির সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। আশা করব সব ক্রিকেটার ফ্রেশ থাকবে এবং বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার মতো ভালভাবে ফিট থাকবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: বেশি পেছনে যাব না, ড্যানিয়েল ভেটরির অধীনে এবং রাঙ্গানা হেরাথের অধীনে স্পিনারদের মধ্যে কি পার্থক্য দেখছেন? উপমহাদেশের স্পিন বোলিং কোচ থাকাতে কি বেশি সুবিধা হয় কিনা? আর হেরাথের অধীনে স্পিনাররা কি একটু বাড়তি আত্মবিশ্বাসী কিনা বা কেমন দেখছেন?

মাহমুদউল্লাহ: দেখেন সব কোচেরই নিজস্ব কোচিংয়ের ধরণ আছে। ড্যানিয়েল যখন ছিল তার নিজস্ব ধরণ ছিল। রঙ্গনার আলাদা কোচিংয়ের ধরণ আছে। তারা দুজনই 'হাইলি কোয়ালিফাইড' কোচ। তারা অনেক অভিজ্ঞ। আমি আশা করব আমাদের স্পিনাররা তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখবে। আমি আশা করব, তারা আমাদের স্পিনারদের জন্য খুব কার্যকরী হবে। তাদের নলেজগুলো আমাদের স্পিনারদের আত্মবিশ্বাসী করার সাহায্য করবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জি: আপনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজ জয়ের দিন ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে র‍্যাঙ্কিং দিয়ে বিচার করতে চান না। এরপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আমরা এখন ৬ এ আছি, অধিনায়ক হিসেবে আপনি কি ব্যাক্তিগতভাবে চাইবেন এবারই বিশ্বমঞ্চে বার্তা দিতে যে এই ফরম্যাটেও বাংলাদেশকে হালকাভাবে না নিতে?

মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই চ্যালেঞ্জ ছিল। এই ফরম্যাটে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল। শেষ কিছু সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেই সিরিজগুলো জিতেছি। আমরা এই ফরম্যাটে ভালো করার সামর্থ্য রাখি। এটা বড় মঞ্চ। আমি মনে করি, যদি সুযোগ হয় তাহলে এই বিশ্বকাপই আমাদের সামর্থ্য প্রমাণের সেরা মঞ্চ। আর আমার মনে হয় এই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য সবাই মুখিয়ে আছে। আমরা যদি নির্দিষ্ট দিনে ভালো কিছু করতে করতে পারি, আমাদের পক্ষে ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।