|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। তাদের তহবিলে উপচে পড়ছে টাকা। বিসিবির এই আয়ের সিংহভাগই আসছে আইসিসি ও এসিসির ইভেন্ট রেভিনিউ, টিভি স্বত্ব, টাইটেল স্পন্সর, টিম স্পন্সর ও বিপিএলের আয় থেকে।
বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, বিসিবির তহবিলে এখন পর্যন্ত জমা আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। আগে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতেন শুধু একজন কোচ। এখন জাতীয় দল, এইচপি, নারী দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও সব বিদেশি কোচ রাখা হয়। তাদের সব অর্থ দেয়া হয় বিসিবির আয় থেকেই।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘বিদেশি বড় বড় স্পন্সর বাদ দিয়ে সব দেশি স্পন্সর নিয়ে আমরা ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের বেতন বাড়িয়েছি। অন্তত দশ গুণ বেড়েছে। এত কিছু করার পরও গত দুই মেয়াদে আমাদের এফডিআর আছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মত।’
কদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা। দেখানে জানানো হয়েছিল গত ৪ বছরে বিসিবির খরচ হয়েছে প্রায় ৮৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যদিও বিসিবির সভাপতি জানিয়েছেন, এর চেয়ে বেশি আয় রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবিভাবক সংস্থার।
বিসিবির প্রায় সব স্পন্সরই স্থানীয়। অন্য দলগুলোর তুলনায় অনেক কম অর্থ পায় বিসিবির স্পন্সরদের কাছ থেকে। এরপরও বিসিবি যে পরিমাণ আয় করছে তা প্রশংসা যোগ্য বলেই মনে করেন পাপন।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এসব (সমালোচনা) অনেক শুনেছি। বিসিবি কত টাকা পেয়েছে আমাকে এটা বলুন। আগে একটা হেড কোচ থাকত। এখন ফিল্ডিং কোচ, বোলিং কোচ, ব্যাটিং কোচ, ট্রেনার- এসব শুধু জাতীয় দলের। তারপর রইল এইচপি, মহিলা দল, এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচও তো বিদেশি। কি পরিমাণ খরচ বিসিবির, বুঝতে হবে।’