আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, সর্বোচ্চ ইংল্যান্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 10:27 বুধবার, 30 জুন, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে দেশে ও দেশের বাইরে মিলে প্রতিটি দলই ছয়টি সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে। অন্যান্যদের সমান ছয়টি করে সিরিজ খেলার সুযোগ পেলেও এবারের আসরে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গেল আসরে দুটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেললেও এবার আর সেটি হচ্ছে না। 

ফলে প্রতিটি সিরিজ দুই ম্যাচের হওয়ায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে মোট ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। যারা কিনা এবারের আসরে মোট ২১টি ম্যাচ খেলবে। 

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলবে বাংলদেশ। আর দেশের বাইরে গিয়ে খেলতে হবে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা হবে পাকিস্তানকে দিয়ে।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে পাকিস্তান। এরপর ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে মুমিনুল হকের দল। আগামী বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের যাত্রা। 

এর মাঝে অবশ্য ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড, মার্চ-এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জুলাই-আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে টাইগাররা। গেল আসরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। যেখানে ৭ টেস্ট খেলে টাইগারদের প্রাপ্তি মাত্র ২০ পয়েন্ট।

এদিকে ২০২৩ সালের জুনে শেষ হবে এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো। তবে এখনও ফাইনালের তারিখ ও ভেন্যু চূড়ান্ত করেনি আইসিসি। করোনাভাইরাসের কারণে গেল আসরের শেষ দিকে এসে পয়েন্ট পদ্ধতিতে বদল এনেছিল আইসিসি। যা অব্যাহত থাকছে এবারের আসরেও।

প্রতিটি ম্যাচের জন্য সমান পয়েন্ট নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। প্রতিটি টেস্ট জয়ের জন্য থাকবে ১২ পয়েন্ট। ম্যাচ ড্র হলে প্রতিটি দল ৪ পয়েন্ট করে পাবে আর টাই হলে পাবে ৬ পয়েন্ট। এরপর প্রতিটি দলের যত পয়েন্ট হবে সেটির শতকরা হিসেব করে দুই ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হবে।

এবারের আসরে পাঁচ টেস্টের সিরিজ রয়েছে দুটি আর চার টেস্টের সিরিজ একটি। এ ছাড়া সাতটি তিন টেস্টের ও ১৩টি রয়েছে দুই টেস্টের সিরিজ। যেখানে জো রুটদের পর সবচেয়ে বেশি ১৯টি টেস্ট খেলবে ভারত। এরপর অস্ট্রেলিয়া ১৮টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫টি ও পাকিস্তান ১৪টি টেস্ট খেলবে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের সমান ১৩টি করে টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা।