শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ

মিঠুন-মাহমুদউল্লাহদের জায়গায় ব্যাট করতে চান সাইফউদ্দিন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:48 সোমবার, 24 মে, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার খোঁজ বাংলাদেশ দলে বহুদিনের। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দিয়ে সেই অভাব ঘোচানোর চেষ্টা টিম ম্যানেজমেন্টের। বোলিংয়ে তিনি লেটার মার্ক পাবার যোগ্য, কিন্তু ব্যাটিংয়ে এখনো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। পারবেনই বা কিভাবে? ব্যাট করেন ব্যাটিং অর্ডারের ৮ নম্বর পজিশনে।

বল হাতে অবদান রাখার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে চান সাইফউদ্দিন। তাই খেলতে চান ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ অথবা ছয় নম্বর পজিশনে। অর্থ্যাত নির্দিষ্ট করে বললে মোহাম্মদ মিঠুন কিংবা মাহমুদউল্লাহর জায়গায়। ওপরে ব্যাট করার ইচ্ছে থাকলেও এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে দলের চাওয়াটাই।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফউদ্দিন বলেন, 'অবশ্যই দল যেভাবে চাইবে সেভাবেই প্রস্তুত হব। সেটা আট নম্বর হোক বা সাত নম্বরে। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে প্রশ্ন করা হলে পাঁচ/ছয় নম্বরে ব্যাটিং করতে চাই। যদিও এটা সম্ভব না টিম কম্বিনেশনের কারণে। অনেক অভিজ্ঞ বড় ভাইরা আছের। যদি ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকতে পারি ইনশাআল্লাহ সুযোগ আসবে।'

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২ উইকেট নিয়েছেন সাউফউদ্দিন। যার মধ্যে একটি ছিল ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গার। এই লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান ৬০ বলে ৭৪ রান করে একটা সময় বাংলাদেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছিলেন। তার উইকেটটি নিতে পারায় তাই খুশি সাইফউদ্দিন।

তিনি বলেন, 'মন থেকে চাচ্ছিলাম। সেরাটা দিচ্ছিলাম যতটা পারি নিজের থেকে। এটা বাংলাদেশের জয়ের খুব দরকার ছিল। সেটা ভূমিকা রাখতে পেরেছি। এজন্য নিজে খুব খুশি। হাসারাঙ্গার সঙ্গে যুব দলের বিশ্বকাপ খেলেছি। কিছুটা হলেও ওকে চিনি। অবশ্যই ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট বুঝে ফিল্ডিং সেট আপ করে ওর উইকেট নিতে পেরে খুশি।'

গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে নাকাল জনজীবন। এর মধ্যেই ক্রিকেটাররা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলছেন ওয়ানডে সিরিজ। স্বভাবতই এই ধরণের কন্ডিশনে খেলা তাদের জন্য বেশ কঠিন। এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাইফ। বিকেএসপিতে অনুশীলন ম্যাচ যাতে সাহায্য করেছে।

সাইফ বলেন, 'এর আগে একটা অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি বিকেএসপিতে। ধারণা হয়েছে এই গরমে কিভাবে নিজেকে মেইন্টেইন করতে হবে। ওভারের মাঝে পানি খাওয়া, স্যালাইন ও হাইড্রোয়েড খাওয়া, এগুলোতে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছি। বাউন্ডারি লাইনের শেষে পানি স্যালাইন এসব রেখেছি। কিছুটা কষ্ট হয়েছে। তবু চেষ্টা করেছি নিজের শতভাগ দেওয়ার কারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ইনশাআল্লাহ দিতে পেরে খুশি।'