নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট

নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলবেন কোরি অ্যান্ডারসন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:35 শুক্রবার, 04 ডিসেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইনজুরিই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল কোরি অ্যান্ডারসনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। ২০১৭ সালে পিঠের ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচার করে মাঠে ফিরলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। টানা ইনজুরির ধকল সামলে উঠতে না পেরে ২০১৮ সালে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মনোযোগী হয়েছিলেন। 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এরপর বিভিন্ন সময়ে ফ্রাঞ্জাইজি লিগের হয়ে দেখা গেলেও সে রকমভাবে নিয়মিত হতে পারছিলেন না। এরপর যেন অনেকটা আড়াল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে দেখা গেলেও নিজের সহজাত রূপ দেখাতে পারেননি।

আবারও ক্রিকেটে ফিরছেন অ্যান্ডারসন, এমন আলোচনার জন্ম দিয়ে হঠাৎই গণমাধ্যমের শিরোনামে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে এবার আর নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে নয়। সবকিছু ঠিক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে দেখা যাবে ২৯ বছর বয়সি ক্রিকেটারকে।

২০১৪ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বলে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন অ্যান্ডারসন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সে সময়ের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে বেশ আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর সেই রেকর্ড খুব বেশি দিন দীর্ঘস্থয়ী হয়নি। ২০১৫ বিশ্বকাপে তার সেই রেকর্ড নিজের দখলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স।

রেকর্ড ধরে রাখতে না পারলেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ঠিকই ধরে রেখেছিলেন তিনি। তবে ইনজুরিই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো তাঁর। ২০১৯ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লিগ ডিভিশনে অংশ নিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাদের স্বপ্ন আগামী ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়অ

সেই পরিকল্পনা মাথায় রেখে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা সাবেক ও বর্তমানে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের দিকে নজর দিচ্ছে তারা। সে তালিকায় আছে অ্যান্ডারসনেরও নাম। তবে সেখানে খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তাকে।

যেখানে নিজের বর্তমান দেশ ছেড়ে সেই দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, সেখানে তিন বছর থাকার পরই কেবল যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন। তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারটি সহজ হতে পারে তাঁর স্ত্রী ম্যারি শ্যামবার্গার জন্য। কারণ তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। করোনোর সময়টায় স্ত্রীর সঙ্গে টেক্সাসে ছিলেন অ্যান্ডারসন।

শুধু অ্যান্ডারসনই নয়, এরআগে আরও অনেকে নিজের দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে দেশ ছেড়েছেন। সেই তালিকায় আছেন পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলা সামি আসলাম এবং ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট।