বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ

মেহেদী নায়ক, মেহেদী খলনায়ক

সৈয়দ সামি

সৈয়দ সামি
প্রকাশের তারিখ: 19:09 মঙ্গলবার, 24 নভেম্বর, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী দিনে দুই ম্যাচেরই শেষ ওভারে বোলিংয়ের ভার পড়েছিল দুই মেহেদীর কাঁধে। একজন শেখ মেহেদী হাসান আর অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। একজন হলেন ম্যাচের নায়ক অন্যজন হলেন খলনায়ক।

রাতের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জিততে ২২ রান প্রয়োজন ছিল জেমকন খুলনার। ব্যাটসম্যান আরিফুল হক আর বোলার ছিলেন মিরাজ। শেষ ওভারে ৫ বলে ৪ ছক্কায় ম্যাচ জেতান আরিফুল। আর তাতেই প্রত্যাবর্তনটা জয় দিয়ে রাঙিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

এই ম্যাচে দিয়েই দীর্ঘ ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। শেষ ওভারের আগে কেউ ভাবেওনি এই ম্যাচটি জিততে পারবে খুলনা। শিশিরের কারণে শেরে বাংলায় বল গ্রিপ করতে সমস্যা হবে যেনেও শেষ ওভারে মিরাজের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

আগের ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয়ায় অধিনায়কের আস্থা ছিল এই অফ স্পিনারের উপর। যদিও সেই আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বিপিএলের বেশ কয়েকটি আসরে কব্জির জোর দেখিয়েছিলেন আরিফুল। টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম ম্যাচে আবারও জানান দিলেন তিনি, ফুরিয়ে যাননি।

মিরাজের প্রথম বলে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা। দ্বিতীয় বলটিও একই কায়দায় সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেন আরিফুল। তৃতীয় বলে সহজ এক রান না নিয়ে নিজের উপর বিশ্বাসের প্রমাণ দেখিয়েছেন তিনি। চতুর্থ বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে আবারও ছক্কা। পঞ্চম বলেও মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

বিকেলের ম্যাচে শেষ ওভারে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে বেক্সিমকো ঢাকার দরকার ছিল ৯ রান। ৬ বলে এই অসাধ্যই 'ডিফেন্ড' করলেন মেহেদী। প্রথম তিন বলেই ডট। পরের বলে চার মারেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুক্তার আলী। এর পরের বলে ওভার স্ট্যাপিংয়ের কারণে 'নো' হয়। এরপর ফ্রি হিটেও কোনো রান দেননি মেহেদী। শেষ বলে মুক্তার এক রান নিলেও ২ রানে ম্যাচ জিতে ফেলে রাজশাহী। এর আগে ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলের সেরা ব্যাটসম্যানও হন তিনি।