প্রিমিয়ার লিগ

ব্রাদার্সের চেক বাউন্স, বিপাকে ক্রিকেটাররা

সৈয়দ সামি

সৈয়দ সামি
প্রকাশের তারিখ: 10:11 শুক্রবার, 31 জুলাই, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) দল বদলের পর প্রথম কিস্তিতে চুক্তির ২৫ শতাংস এবং লিগ শুরু হওয়ার পর বাকি ২৫ শতাংশ বুঝিয়ে দেয়ার বিধান রয়েছে। যদিও এই নিয়মের তোয়াক্কা করেনি চারটি ক্লাব। এদের মধ্যে রয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, ডিওএইচএস এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

করোনার তান্ডবের কারণে গত ১৬ মার্চ এক রাউন্ড পরই প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত করা হয়। পাওনা বুঝে না পাওয়ায় বিপদে পড়েন ক্লাবগুলোর ক্রিকেটাররা। ঈদ উল ফিতরের আগে প্রথম কিস্তির পাওনা বুঝে পেতে মানবিক আবেদন করে তারা। এই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই চারটি ক্লাবের মধ্যে ৩টি ক্রিকেটারদের প্রথম কিস্তির পাওনা পরিশোধ করে।

যদিও ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা এক টাকাও পাননি। খেলোয়াড়দের যে চেক দিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ তা ২৯ জুলাই বাউন্স হয়েছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন দলটির ক্রিকেটারর তুষার ইমরান।

'ডেইলি সানের' সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, '৮-৯ জন ক্রিকেটার ব্যাংকে গেলেও তাদের চেক বাউন্স হওয়ায় টাকা বুঝে পায়নি। জুনায়েদ সিদ্দিকি ছাড়া আর কেউ টাকা পায়নি। এটা গত কয়েক মৌসুম ধরেই হচ্ছে। তারা যদি আমাদের অর্থ প্রদান করতে না পারে তবে তারা কেন লিগে অংশ নিচ্ছে?'

ব্রাদার্সের কর্মকর্তা আমিন খান, চেক বাউন্সের বিষয়টি মেনে নিলেও, তিনি জানিয়েছেন, তারা ৪ লাখ টাকা ক্রিকেটারদের দিতে চেয়েছিলেন। যদিও এটা তারা নেননি।

তিনি বলেন, 'হ্যা চেক বাউন্সের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত এবং আমরা এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমরা তাদের ৪ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলাম ঈদকে সামনে রেখে। কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় আছে যারা এটা গ্রহণ করেনি। এজন্য জুনিয়দেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।'

ক্রিকেটার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও বিষয়টি নিয়ে উদাসীন টুর্নামেন্টের আয়োজক সিসিডিএম। এ প্রসঙ্গে তুষার ইমরান বলেছেন, 'আমরা তাদের ৪ লাখ টাকার প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। যেটা তারা আমাদের দিতে চেয়েছিল। আমরা এটা কেন নেব? আমি মনে করি সিসিডিএম এই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী নয় এবং তারা এখন অন্যরকম ব্যবহার করছে।'