করোনা পরিস্থিতি

আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিসিসিআই!

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:15 সোমবার, 06 জুলাই, 2020

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলমান করোনা পরিস্থিতি বেশ বাজে প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটাঙ্গনে। খেলা বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতি চোখ রাঙাচ্ছে বোর্ডগুলোকে। ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রভাব ক্রিকেট বিশ্বকে দেখিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এবার একই ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের আশঙ্কা জেগেছে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানা গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাত অনুযায়ী স্পন্সর থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে যাচ্ছে বোর্ড।

করোনার প্রভাবে লকডাউনের জের ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতের সকল প্রকার ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। স্পন্সর থেকে আয় কমে যাওয়ায় টান পড়েছে কোষাগারেও। সেই সঙ্গে রয়েছে সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাত। যা প্রভাব ফেলতে পারে বোর্ডের আয়ের অন্যতম উৎস ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। কেননা আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর যে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভো।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে নাইকির সঙ্গে চুক্তি শেষ হতে যাচ্ছে বিসিসিআইয়ের। করোনার প্রভাবে নতুন চুক্তি নিয়ে বাড়ছে সংশয়। কেননা এই মুহূর্তে নাইকির পক্ষে বিসিসিআইকে প্রত্যাশিত অর্থ দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

বর্তমানে নাইকির সঙ্গে মোট চুক্তি ৩৭০ কোটি রুপির। চুক্তি অনুযায়ী ম্যাচ প্রতি বিসিসিআইকে ৮৫ লাখ রুপি দেওয়ার কথা নাইকির। সঙ্গে রয়্যালটি আরও ৩০ কোটি রুপি। করোনার কারণে ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এত টাকা বিসিসিআইকে দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

এবার আসা যাক আইপিলের প্রসঙ্গে। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের কারণে ভারতের জনগণ চীনা পণ্য ব্যবহার ইতোমধ্যেই বর্জন করা শুরু করে দিয়েছে। অপরদিকে চীনা মোবাইল কোম্পানী ভিভো প্রতিবছরের আইপিএলে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে বিসিসিআইকে ৪৪০ কোটি রুপি দেয়।

জনগনের দাবি উপেক্ষা করেও বোর্ড যদি ভিভোকে স্পনসর হিসেবে রেখেও দেয় তাতেও কিন্তু আসছে না কোনো সমাধান। কেননা করোনা প্রভাবে এবারের আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিসিসিআইকে এই টাকাটাও হারাতে হবে।

সেই সঙ্গে বিসিসিআইকে ইতোমধ্যে হারাতে হয়েছে সম্প্রচার সত্বও। চলতি বছর ভারতের মাটিতে ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে প্রায় সবগুলো বাতিল হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিশাল সম্প্রচার সত্ত্বও হারাতে হলো বিসিসিআইকে।