ডিপিএল

হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরলেন 'বোলার' শহীদ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:45 রবিবার, 21 এপ্রিল, 2019

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

আবাহনী লিমিটেডঃ ৩৭৭/৭ (৫০ ওভার) (সৌম্য-১০৬; জহুরুল-৭৫; শহীদ-২/৬২, তাসকিন-২/৫৭) 

লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জঃ ২৫০/৭/ (৪৬.১ ওভার) (নাঈম-১১৭*, তাসকিন-৬*;  মিরাজ-৩/৬৫, মাশরাফি- ২/২০) 

ফিরলেন শহীদঃ ৪টি ছয় এবং ৪টি চারের সাহায্যে ৪৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন শহীদ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে দলীয় ২৩৯ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। 

শহীদের হাফসেঞ্চুরিঃ নাঈমের সেঞ্চুরির পর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শহীদ। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আবাহনী।  

নাঈমের সেঞ্চুরিঃ ঋষি ধাওয়ান ফিরে গেলেও দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রুপগঞ্জ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ১৪৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের পেস বোলার মোহাম্মদ শহীদের সাথে ৯২ রানের জুটি গড়েন তিনি। 

মিরাজের তৃতীয়ঃ ৩১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নিয়েছেন আবাহনীর অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ভারতীয় রিক্রুট ঋষি ধাওয়ানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ২৯ রান নিয়ে আউট হয়েছেন এই ভারতীয়।  

আবারও মাশরাফিঃ ইনিংসের ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিসের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দিয়ে তাঁকে সাজঘরে ফেরান নড়াইল এক্সপ্রেস। মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন নাফিস।  

বিপর্যয়ে রূপগঞ্জঃ মিরাজ এবং মাশরাফির পর এবার রুপগঞ্জ শিবিরে আঘাত হেনেছেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলিকে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন তিনি। ফলে মাত্র ৩ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে জাকেরকে।  

মাশরাফির প্রথমঃ মিরাজের পর রুপগঞ্জ শিবিরে আঘাত হেনেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলীয় ৬২ রানের মাথায় অধিনায়ক নাঈম ইসলামের উইকেটটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ২০ রান করা নাঈমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।  

মিরাজের জোড়া আঘাতে বিপদে রুপগঞ্জঃ আবাহনীর ছুঁড়ে দেয়া ৩৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্পিন তারকা মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে বিপদে পড়েছে রুপগঞ্জ। দলীয় ২৭ রানের মাথায় ওপেনার মেহেদি মারুফকে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান মিরাজ।

১০ রান করে মারুফ আউট হওয়ার পর ক্রিজে নেমেছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু মাত্র ৪ রান করে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হতে হয়েছে তাঁকে। দলীয় ৩১ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।  

এর আগে ডিপিএলের অলিখিত এই ফাইনাল ম্যাচে আজ শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে রুপগঞ্জের বিপক্ষে ৩৭৭ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের আবাহনী। এই স্কোরের পেছনে সবথেকে বেশি অবদান ছিল জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারের। মাত্র ৭৯ বলে ১৫টি চার এবং ২টি ছক্কায় ১০৬ রানের বিধ্বংসী একটি ইনিংস খেলেছেন তিনি।

তবে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুধু সৌম্যই নয়, আক্রমণাত্মক ছিলেন জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনও। মাত্র ৩৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে দলকে বিশাল পুঁজি এনে দিয়েছেন তিনি। তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ২টি ছয় এবং ৭টি চার।

ওপেনার জহুরুল ইসলামও অবশ্য কম যাননি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮৩ বলে ৭৫ রানের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস। এছাড়াও ওয়াসিম জাফর ৪৬ এবং সাব্বির রহমান ৩৩ রান করতে সক্ষম হন। সাব্বির এই ইনিংসটি খেলেছেন মাত্র ২৪ বলে।  

আবাহনীর ব্যাটসম্যানরা আজ যেভাবে মারমুখী হয়ে ব্যাটিং করেছেন তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি নাঈম ইসলামের নেতৃত্বাধীন রুপগঞ্জ বোলাররা। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন শুধু পেসার তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ শহীদ। কিন্তু তাঁরা উভয়ই রান দিয়েছেন বেশ হাত খুলে।

তাসকিন ৫ ওভার বোলিং করে ৫৭ রান দিয়েছেন। অপরদিকে শহীদ ৯ ওভারে খরচ করেছেন ৬২ রান। এই দুই বোলার ছাড়াও ১টি করে উইকেট শিকার করতে পেরেছেন শুভাশিষ রায়, নাবিল সামাদ এবং ঋষি ধাওয়ান।