রাজ্জাকের বাংলাদেশ স্তুতি
'কি বাংলাদেশ দেখেছিলাম, এখন কি দেখছি!'

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক বদলে যাওয়া বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অবাক হচ্ছেন। চলমান এশিয়া কাপের মঞ্চে বাংলাদেশ দলকে আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেট খেলতে দেখে অতিতের ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ দলকে স্মরণ করেছেন পাকিস্তানের হয়ে ২৬৫ ওয়ানডে খেলা এই অলরাউন্ডার।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে এহেন পালাবদলের পেছনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের বড় ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ দলে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাই বলে দেয় তাঁরা কত দূর এসেছে, দল হিসেবে। রাজ্জাক পিটিভি স্পোর্টসে বলেছেন,
'বিপিএলকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। বিপিএলের মাধ্যমে অনেক পার্থক্য সৃষ্টি এসেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক উন্নতি করেছে। এখন থেকে ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষা এখন থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। প্রতিবছরই তাদের উন্নতি করছে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস বাড়ন্ত থাকলে পারফর্মেন্স আসবেই।'
বাংলাদেশে ক্রিকেটের সাথে জড়িত আবেগ যে কোন ক্রিকেট পাগল জাতিকে হার মানাতে বাধ্য। দুই দশক পূর্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে শেখা দল বাংলাদেশের হারে সমর্থকদের আবেগ ও প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া।
অথচ নতুন দল হিসেবে প্রত্যাশার সীমানা ছোট হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। শুন্য থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এতদূর আসা যে কোন ছোট দলের জন্য প্রেরণাদায়ক।
'আমি যখন ২০০১ সালের দিকে বাংলাদেশ সফর করেছিলাম, তখন বাংলাদেশে ক্রিকেটের প্রতি অবিশ্বাস্য আবেগ দেখেছি। তারা হয়তো বড় দলে পরিনত হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না। তাঁরা সেই সময় বড় দলের সাথে খেলত এবং পরাজিত হত তখন তাঁরা কান্নায় আবেগের বহিঃপ্রকাশ করত। তখন তাঁরা দল হিসেবেও ভাল ছিল না, কিন্তু তবুও পরাজিত হলে সেটাকে সহজে মেনে নিত না তাঁরা।
আপনি কঠোর পরিশ্রম ও আবেগ দিয়ে সব কিছুই অর্জন করতে পারবেন। বাংলাদেশ তাঁর উদাহরণ। আজ ফলাফল তাদের সামনে, ভাল করছে, বড় দলকে হারাচ্ছে। ছোট দল থেকেই বড় দল হয়। যদি র্যাঙ্কিং এর কথা বলি, তাহলে দেখবেন তাঁরা সাত নম্বরে আছে। পাকিস্তান কিন্তু র্যাঙ্কিং এ ছয় নম্বর দল হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছিল। অবশ্যই, বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হয়,' বলেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ টেস্ট খেলা এই অলরাউন্ডার।