এর আগে তারা টানা দুই ম্যাচে হেরেছে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে রংপুর। এরপর হায়দার আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে চিটাগং। হায়দার তার স্বদেশী আকিফ জাভেদকে ১৭তম ওভারে টানা চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে চিটাগংকে জিতিয়েছেন। তিনি অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রান করে।
মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। লাহিরু মিলান্থা আউট হয়েছেন মাত্র ৬ রান করে। আর গ্রাহাম ক্লার্ক ফিরেছেন ১৫ রান করে। দুজনকেই আউট করেছেন আকিফ জাভেদ। পাওয়ার প্লেতে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট ২৯। দলটির হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।
তিনি শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। তবে তিনি ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে লাইন মিস করে স্টাম্প হারিয়ে। ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। একদিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও পারভেজ হোসেন ইমন একপ্রান্ত আগলে রেখেই খেলছিলেন। দ্বারপ্রান্তে ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির। ৪৩ বলে ৪১ রান করে এই ব্যাটার বোলার সাইফউদ্দিনের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি ৮ রান করে রান আউট হয়ে ফিরলেও চিটাগংকে আর উইকেট হারাতে দেননি হায়দার ও রাহাতুল ফেরদৌস। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন হায়দার। চতুর্থ ওভারে হায়দার চড়াও হন স্বদেশী পেসার আকিফের ওপর প্রথম বলেই লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন হায়দার। পরের বলে ছক্কাটি ছিল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে।
তৃতীয় ছক্কাটি এসেছে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে। আর ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে চতুর্থ ছক্কা মেরে চিটাগংয়ের জয় নিশ্চিত করেন হায়দার। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইফতিখার আহমেদের অপরাজিত ৬৫ আর সৌম্য সরকারের ২৩ ও শেখ মেহেদীর ২২ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর। রংপুরের এই সংগ্রহে বড় অবদান ছিল ইফতিখার ও মেহেদীর। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেতে ৪৭ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েছেন শেষ পর্যন্ত।