প্রধানমন্ত্রীকে না বলতে পারিনি: তামিম

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে তামিম-তাসকিন-লিটনসহ ক্রিকেট মহলে শোক
১৫ ঘন্টা আগে
২৪ ঘন্টা না যেতেই তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে এসেছে নতুন মোড়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লম্বা সময় আলোচনার পর অবসরের ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী তাকে খেলায় ফেরার 'নির্দেশ' দিয়েছেন বলেও জানান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
যদিও আপাতত এক-দেড় মাসের বিরতি নিয়ে এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তামিম। শুক্রবার দুপুরে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মাধ্যমে এই ক্রিকেটারকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তামিমের স্ত্রীও। পরে সেখানে ডেকে নেওয়া হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে।

গণভবনে প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা আলোচনা শেষে বের হয়ে গণভবনের সামনে দাঁড়িয়ে অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তামিম নিজেই। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে না বলতে পারিনি।'
ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মন কাঁদছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের
৯ ঘন্টা আগে
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে তামিম আরও বলেছেন, ‘আজ দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি।’
‘কারণ আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের যিনি সবচেয়ে বড় ব্যক্তি, তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সাথে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড়মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন।’
এদিকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে অবসরের ঘোষণার পর তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বিসিবি কর্তারা। এরপর বোর্ড প্রধানের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করেন সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির সঙ্গে।
পরে মাশরাফিই তামিম ও তার স্ত্রীকে নিয়ে যান গণভবনে। দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তারা গণভবনে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ সবার একসঙ্গে আলোচনা হয়। কিছুক্ষণ পরে ডেকে নেওয়া হয় বিসিবি সভাপতিকে। পরে তামিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে ২ ঘন্টার বেশি সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।