ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলেন এবাদত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ইনিংসে ২৭০-২৮০ রান চায় বাংলাদেশ
১ ঘন্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বরাবরই বিবর্ণ বাংলাদেশ। রঙিন কিংবা সাদা পোশাক, সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিষ্প্রভ। তবে নতুন বছরে পুরোনো চিত্র বদলেছে মুমিনুল হকের দল।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পুরো পাঁচদিন দাপট দেখিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে যেতে চেয়েছিলেন এবাদত হোসেন। ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে এবাদত বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্ট খেলতে নামার আগে ১০ টেস্টে মাত্র ১১ উইকেট নিয়েছিলেন এবাদত। শুধু মাত্র টেস্ট খেলার কারণে খুব বেশি সুযোগও মেলে না ডানহাতি এই পেসারের। এটির সবচেয়ে বড় কারণ ঘরের মাঠে একাদশে পেসারদের আধিক্যতা না থাকা।
খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুুযোগ না পেলেও নিজেকে প্রস্তুত করতে পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে কাজ করেছেন এবাদত। যার ফলও হাতে নাতে পেয়েছেন তিনি। পেসারদের জন্য আদর্শ কন্ডিশন পেয়ে ৬ তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন এবাদত।
এদিকে ভলিবল খেলোয়াড় থেকে ক্রিকেটার হলেও ক্রিকেটটা বেশ উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে জানিয়ে এবাদত বলেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে।’
‘আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। আর ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। বাংলাদেশ ও বিমানবাহীন প্রতিনিধিত্ব করাও।’