'মরিসের মতো অলরাউন্ডার হলে আইপিএলের আরও বেশি টাকা পেতাম'

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘ভিলিয়ার্স এখনও আইপিএলের অনেক ক্রিকেটারের চেয়ে ভালো’
৩ আগস্ট ২৫
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে ডেল স্টেইন। সেরা সময় পিছু ফেলেছেন অনেক আগেই। সুইং, গতি, বাউন্সার কিংবা ইয়র্কার সবই আছে তার অস্ত্র ভান্ডারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। এমন সফল ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে মজার ছলেই বলেছেন, ব্যাটিংয়ে আরেকটু মনযোগী হলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আরও বেশি আয় করতে পারতেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেইনকে জেনুইন পেস বোলার হিসেবেই সবাই জানে। কিন্তু একসময় তিনি ছিলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। একাডেমিতে খেলার সময় তিনি একবার ছয় মাসের জন্য হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পরেন। এই সময়ে তিনি বোলিং করতে পারছিলেন না। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাটসম্যান হয়ে যাবেন। তখন তিনি নিয়মিত তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে শুরু করেন।

অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে সে বছর তিনি একাডেমিতে বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন স্টেইন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্কুলের পরে, আমার প্রথম একাডেমি বছরে আমি খুবই বাজেভাবে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ছিলাম। প্রায় ছয় মাস ধরে আমি বল করতে পারিনি। সুতরাং আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ব্যাট করবো। আমি তিন নম্বরে ব্যাট করেছি এবং আমার একাডেমির বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ করি। আমি মনে করি এটি হাস্যকর। তারপর আমি টাইটানসে যোগ দিতে প্রিটোরিয়ায় যাই।’
যদিও টাইটানসে ফাফ ডু প্লেসি, এবিডি ভিলিয়ার্সদের ভিড়ে জেনুইন পেসার বনে যান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে পৌঁছে ফাফ, এবির সঙ্গে আমার দেখা হয়। তারপরে আমি আলভিরো পিটারসেনের সংস্পর্শে আসতে শুরু করি। আমি দ্রুত বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমি একজন ভাল ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারা আমার চেয়ে ভালো ব্যাটসম্যান ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে, দক্ষিণ আফ্রিকা বা টাইটানসের হয়ে খেলতে হলে আমাকে প্রাথমিকভাব আমার বোলিংয়ে মনোনিবেশ করা জরুরি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি বল হাতে দুর্দান্ত বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও। সর্বশেষ মৌসুমসহ টানা অনেকগুলো মৌসুম খেলেছেন আইপিএলে। অর্থের হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার পারিশ্রমিক নিয়ে আছে আক্ষেপ। পেস বোলিং আর পাশাপাশি যদি ভালো ব্যাট করতে পারতেন তাহলে বাড়তে পারতো তার পারিশ্রমিকের অঙ্ক।
স্বদেশি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের মতো ব্যাট হাতেও দলে অবদান রাখতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন এর জন্য কিছুটা আফসোস করছি কারণ আমার মনে হয় আমার গড় ২০ এর কাছাকাছি এবং কে জানে আমি যদি, ক্রিস মরিসের মতো ভাল অলরাউন্ডার হতে পারতাম, তাহলে আইপিএলে আরও বেশি অর্থ আসত।’