বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেও মুষড়ে পড়েন শঙ্কর

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে যখন জয়ের আনন্দ উদযাপন করছিল ভারত, সেসময় হতাশা এবং বেদনায় সাজঘরে কপাল চাপড়াচ্ছিলেন অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না মোটেই। বরঞ্চ তাঁরও দলের সঙ্গে জয় উদযাপন করার কথা ছিল সমানতালে।
জয়ী দলের সদস্য হয়েও কেন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন শঙ্কর? এই প্রশ্নর জবাব ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার অবশ্য নিজেই দিয়েছেন। মূলত ফাইনালে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে না পারায় সারা রাত কষ্টে কেটেছিল শঙ্করের। সেই ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেন তিনি।

এরপর ব্যাট হাতেও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন এই ডানহাতি। ১৯ বলে ১৭ রান আসে শঙ্করের ব্যাট থেকে। শেষের দিকে দীনেশ কার্ত্তিক ৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস না খেললে হয়তো পরাজিতের কাতারেই থাকতো ভারত। সেক্ষেত্রে পরাজয়ের জন্য শঙ্করকেই দুষতো সমর্থকরা।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে দুই বছর আগেকার সেই স্মৃতি আবারো রোমন্থন করেছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতেই বদ্রি আর বালার কাছ থেকে আমি দুটো বড় শিক্ষা অর্জন করেছিলাম। বদ্রি আমাকে বলেছিলেন-যদি তুমি যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় হও, কেউই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা আটকাতে পারবে না। বালা বলেছিলেন-লজ্জা আর অস্বস্তি সামলে নিতে পারাটাই জীবনের আসল কথা। ওই সময়টায় আমার কাছে এই কথাগুলো অনেক বড় মনে হচ্ছিল। যখন এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লাম। আমি এটা ঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলাম।’
লক্ষ্মীপতি বালাজি এবং শুভ্রামানিয়াম বদ্রিনাথের দেয়া শিক্ষাই পরবর্তীতে সাহায্য করেছিল শঙ্করকে। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘নিদাহাস ট্রফির পরের সময়টা আমার জন্য ছিল বেদনার। যখন সে কষ্ট থেকে মুক্তির প্রয়োজন পড়লো, আমি তাদের সেই শিক্ষার কথা স্মরণ করলাম। এটা আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করে।’
তীরে এসে তরী ডুবানোর নজীর খুব একটা কম নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে। নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হওয়ায় একাধিকবার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটি তার মধ্যে অন্যতম।