পঞ্চমবারের মতো আইপিএল ফাইনালে মুম্বাই

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলের দ্বাদশ আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে অভিজ্ঞ চেন্নাই সুপার কিংসকে ছয় উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মারা। এ জয়ে পঞ্চমবারের মত আইপিএলের ফাইনালে উঠল মুম্বাই।
চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে আসরের দ্বিতীয় দেখায়ও জয় তুলে নিয়েছে মুম্বাই। এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে শেষ চার দেখার চারটিতেই জয়ী হয়েছে রোহিত বাহিনী। তবে এই ম্যাচ হেরেও ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকছে চেন্নাইয়ের সামনে। তাদেরকে জিততে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।
এদিন চেন্নাইয়ের দেয়া মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল মুম্বাই। ব্যর্থ হাতে ফিরে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রান করে দীপক চাহারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে ফিরে দলকে শঙ্কায় ফেলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এসে বাঁহাতি ওপেনার কুইন্টন ডি ককের উইকেট তুলে নেন স্পিনার হরভজন সিং। মাত্র ৮ রান করা কককে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। কিছুটা স্বস্তি ফেরে চেন্নাই শিবিরে।
কিন্তু চেন্নাইয়ের স্বস্তিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তিনে নামা ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব এবং চারে নামা ব্যাটসম্যান ইশান কিশান। দুইজনে মিলে চেন্নাইয়ের বোলারদের বিপক্ষে গড়ে তোলেন শক্ত প্রতিরোধ। তাঁদের দুইজনের ব্যাটে চেইন্নাইয়ের স্বস্তি অস্বস্তিতে পরিণত হয়।
এই দুইজনে গড়েন ৮০ রানের জুটি। যার ফলে জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। কিন্তু তখনই মুম্বাইয়ের দুঃস্বপ্ন হয়ে আসেন ইমরান তাহির। একই ওভারে ৩১ বলে ২৮ রান করা কিশানকে বোল্ড করে পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শুন্য রানে।

পাঁচে নেমে হার্দিক পান্ডিয়া জুটি গড়েন যাদবের সাথে। যাদব তুলে নেন তাঁর অর্ধশতক। তাঁদের দুইজনের ব্যাটেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুম্বাই। ৫৪ বলে ১০ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১৩ রান নিয়ে।
চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিতে সক্ষম হন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। একটি করে উইকেট নেন দীপক চাহার এবং হরভজন সিং।
ফাইনালে জায়গা করে নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস ভাগ্যে জয়ী হয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে রানই তুলতে পারেনি চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা।
সাথে দলটি প্রথম সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে মাত্র ৩২ রানেই। ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস ৬ রান করে ফিরে যান লেগ স্পিনার রাহুল চাহারের বলে। এরপর মাত্র ৫ রান তুলতেই জায়ান্ত যাদবের বলে ফিরে যান তিনে নামা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়নাও।
১০ রান সংগ্রহ করতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় আরেক ওপেনার শেন ওয়াটসনেরও। সেখান থেকে দলকে সম্মনাজনক পুঁজি দেন মুরালি বিজয়, আম্বাতি রায়াডু এবং ধোনি। ২৬ বলে ২৬ রান করে রাহুল চাহারের বলে সাজঘরের পথ ধরেন বিজয়।
কিন্তু অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন ধোনি এবং রায়াডু। ৩৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন রায়াডু, ধোনি অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩৭ রান নিয়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৩১ রানে শেষ হয় চেন্নাইয়ের ইনিংস।
মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত বোলিং করেন চাহার। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া একটি করে উইকেট আসে ক্রুনাল এবং জায়ান্ত।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চেন্নাইঃ ১৩১২/৪, ওভারঃ ২০
রায়াডু ৪২*, ধোনি ৩৭*; চাহার ২/১৪, ক্রুনাল ১/২১
মুম্বাইঃ ১৩২/৪, ওভারঃ ১৮.৩
সূর্যকুমার ৭১*, কিশান ২৮; তাহির ২/৩৩, হরভজন ১/২৫