তাইজুলের পরামর্শ সাহায্য করেছে রিয়াদকে

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
উইন্ডিজদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক হাঁকানোর দিনে নব্বইয়ের ঘরে এসে স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। সে সময় রান করতে সময় নিচ্ছিলেন তিনি।
এক পর্যায়ে চেয়েছিলেন সুযোগ নিয়ে বড় শট খেলতে। কিন্তু তাঁর সঙ্গী তাইজুল ইসলাম তাঁকে সাহায্য করেন স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে। পরামর্শ দেন সময় নিয়ে ব্যাট করার। আর এই পরামর্শেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি।
তৃতীয় শতক হাঁকানোর দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে রিয়াদ জানালেন, তাইজুল ইসলাম তাঁকে এমন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা রেখেছেন। বার বার বলেছেন সময় নিয়ে ব্যাট করতে, কোন বড় শট না খেলতে। রিয়াদ জানান,

'সেঞ্চুরি তো সবাই চায়। নব্বইয়ের ঘরে গেলে কে না চাইবে। তবে আজ কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। আমি বেশ কয়েকবার চিন্তাও করছিলাম যে সুযোগ নিব, ডাউন দা উইকেটে গিয়ে বড় শট খেলব। কিন্তু তাইজুল তখন আমাকে বলল যে 'আপনি ভালো ব্যাটিং করছেন, সময় নিয়ে খেলেন, তখন চিন্তা করলাম যে না, সময় নিয়ে দেখে শুনে খেলি।'
নব্বইয়ের ঘরে থেকে শতকে পৌছাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বল খেলেছেন মোট ৩০টি। মন্থর ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজদের বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন ২০৩ বল খেলে, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ধীরগতির সেঞ্চুরির তালিকায় এখন চতুর্থ।
রিয়াদের ভরসা ছিল তাইজুল-নাঈমের উপর। যার প্রমাণ চট্টগ্রাম টেস্টে দিয়েছিলেন দুইজন। দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন তিনশ রানের সংগ্রহ। তাই ধীর গতিতে, সময় নিয়ে, বলের মেধা বুঝে খেলছিলেন তিনি।
'আমার বিশ্বাস ছিল। শেষ ম্যাচে তাইজুল-নাঈমের একটা জুটি ছিল। তাইজুল ভালো ব্যাটিং করেছিল, নাঈমও ভালো ব্যাট করছিলো। আমার দুইজনের ওপরেই বিশ্বাস ছিল। আমি তেমন জোরাজোরি করছিলাম না। আমি ওইরকম চিন্তা করলে সামনে এগিয়ে এক দুইটা শট খেলতে পারতাম। আমি সময় নিয়েছি, আমার বিশ্বাস ছিলো যে তাঁরা আমাকে ওই ভারসাম্যটা দিতে পারবে,' দ্বিতীয় দিন শেষে বলেছিলেন রিয়াদ।
এদিকে ২০১৩ সালের পর সাত নম্বর পজিশনে ব্যাট করে সেঞ্চুরির দেখে পাননি বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান। এর আগে মুশফিকুর রহিম এবং নাসির হোসেন এই পজিশনে খেলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এবার তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ক্লাবে যোগ দিলেন রিয়াদ।