তিন উইকেটে ৩০১ রান তুলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিল ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক ও জো রুট তখনো ক্রিজে। তবে প্রসিধ ও সিরাজের সঙ্গে আকাশ দীপের বোলিংয়ে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে যায় ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।
শেষ ওভারে আর রান তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। উল্টো একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ায় দলটি। এরপর আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দিনের খেলা শেষ হয়। এই সময় সিরাজ ও প্রসিধের স্পেল ছিল পুরো সিরিজের অন্যতম সেরা।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বোলিং কোচ মর্নে মরকেল প্রশংসা করেন মোহাম্মদ সিরাজের, ‘আমি সিরাজের জন্য খুব খুশি। অবশেষে সে স্বীকৃতি পাচ্ছে। সে ড্রেসিংরুমে সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়, যদিও মুখে বেশি কিছু বলে না।’
মরকেল আরও বলেন, ‘এই সিরিজে সিরাজই সেই ক্রিকেটার, যাকে বারবার বল হাতে দলকে টেনে তুলতে দেখা গেছে। বাড়তি ওভার করতে হলেও সে কখনো পিছু হটেনি। সে এমন একজন, যে ক্লান্তি বা চোটের চিন্তা না করে দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসে।’
ম্যাচের পরিস্থিতি এখন ভারসাম্যপূর্ণ। ইংল্যান্ডের দরকার মাত্র ৩৫ রান, ভারতের প্রয়োজন শেষ ৪ উইকেট। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই।
মরকেল আরো বলেন, ‘আজও সে ঠিক সময়ে দারুণ ছন্দে বোলিং করেছে। সে জানে কখন কীভাবে দলকে চাঙা করতে হয়। আমি মনে করি, সিরিজজুড়েই সে অসাধারণ ছিল।’