চতুর্থ দিন শেষে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন জেমি স্মিথ (২*) ও ক্রেইগ ওভারটন (০*)। আজ তাদের ওপরই চোখ থাকবে ইংল্যান্ডের। প্রয়োজনে নিচের দিকের 'ব্যাটার' গাস অ্যাটকিনসন ও জশ টাংও আছেন প্রস্তুত।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে যদি আরও বিপর্যয় নামে, তাহলে গুরুতর চোট নিয়েও ব্যাট করতে নামতে পারেন ক্রিস ওকস। চোটের অবস্থা বিবেচনায় বিষয়টি যতটা ঝুঁকিপূর্ণ, দলগত প্রেক্ষাপটে ওকসের প্রস্তুতি ততটাই তাৎপর্যপূর্ণ।
এ নিয়ে জো রুট বলেন, ‘বাকিদের মতো সে–ও (ওকস) আমাদের সঙ্গেই আছে। এটা এমন এক সিরিজ, যেখানে খেলোয়াড়দের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে হয়েছে। (ম্যানচেস্টার টেস্টে) ঋষভ পান্ত ভাঙা পা নিয়েই ব্যাট করেছেন। ক্রিস ওকসও ইংল্যান্ডের জন্য নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে প্রস্তুত।’
ওভাল টেস্টের প্রথম দিনেই সীমানারেখার কাছে ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে বাম কাঁধে গুরুতর আঘাত পান ওকস। স্ক্যানের পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানায়, তার আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব নয়।
সেদিন মাঠ ছাড়ার সময় ফিজিওর সহায়তায় কাঁধে ব্যথা নিয়ে কষ্টে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। পরে আর মাঠে ফেরেননি ওকস। তবে কাল ড্রেসিংরুমে তাকে ম্যাচের জার্সি পরে দেখা গেছে, বাম হাতে কালো ব্যান্ডেজ। বোঝাই যাচ্ছে, দরকার হলে এক হাতেই ব্যাটিংয়ে নামতে প্রস্তুত ছিলেন।
রুট বলেন, ‘সে প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা তার কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার। ইংল্যান্ডের জন্য এমন নিবেদন তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রকে তুলে ধরে। তবে আমরা চাই না, খেলা এমন জায়গায় যাক যেখানে তাকে নামতে হয়।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ওকসের চোট প্রাথমিকভাবে যতটা মনে করা হয়েছিল, তার চেয়ে গুরুতর। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে, যার ফলে অন্তত পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এর মানে, নভেম্বরের অ্যাশেজ সিরিজে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওকসের।