পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখেন বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। মাঝের ওভারে ক্যারিবিয়ানদের রানচাপ সৃষ্টি করেন তিনি। যার ফলে একপর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় পাকিস্তান। অন্যদিকে রউফ ও হাসান আলী কাজটা শেষ করেন ডেথ ওভারে।
তবে রান তাড়ার শুরুটা ভালোই করেছিল ক্যারিবীয়রা। পাওয়ার প্লেতে দলটি তোলে ৫৯ রান, উইকেট হারায় মাত্র একটি। এরপর ধীরগতির ইনিংস খেলেন রস্টন চেজ ও অন্যান্য মিডল অর্ডার ব্যাটাররা, যার ফলে চাপ বাড়তে থাকে। অ্যালিক আথানেজ ৪০ বলে ৬০ রান করলে ছন্দ ভালোভাবেই ধরে রাখে দলটি।
১৬ ওভার শেষে উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে তখনও ছয় উইকেট। ১৭তম ওভারে হারিস রউফ দেন মাত্র আট রান। ওভারের শেষ বলে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ১২ বলে ১৫ রান করা চেজ। এরপর ১৮তম ওভারে বল হাতে আসেন সুফিয়ান মুকিম। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দেন তিনি এবং ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচের নায়ক জেসন হোল্ডারকে।
যার কারণে শেষ দুই ওভারে দরকার পড়ে ৩৮ রান। রউফ ১৯তম ওভারে খান ১৩ রান দেন, যার মধ্যে একটি ছক্কাও ছিল। শেষ ওভারে ২৫ রানের দরকার হয় ক্যারিবীয়দের। চাপের মুখে অভিজ্ঞ হাসান আলী প্রথম বলটি করেন ডট, দ্বিতীয় বলে আউট করে দেন আগেই হাফসেঞ্চুরি করা শেরফান রাদারফোর্ডকে।
৩৫ বলে ৫১ রানে ফিরে যান রাদারফোর্ড। শেষ চার বলে গুড়াকেশ মোতি একটি করে চার ও ছয় মারলেও ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। পাকিস্তান শেষ ওভার নিয়ন্ত্রণে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। এই দুই বাঁহাতির উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১৩৮ রান। ফারহান করেন ৫৩ বলে ৭৪ রান, সাইম করেন ৪৯ বলে ৬৬ রান।
শেষ দিকে হাসান নওয়াজের ৭ বলে ১৫ এবং খুশদিল শাহর ৬ বলে ১১ রানে ভর করে ১৮৯ রানে পৌঁছায় পাকিস্তান। সিরিজে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়। প্রথম টি-টোয়েন্টিও জিতেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে পাকিস্তান।