১৫ উইকেটের দিনে আলো কেড়ে নিলেন সিরাজ-কৃষ্ণা

ছবি: উইকেট নেয়ার পর সিরাজের উদযাপন

স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ২৪৭ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ২৩ রানের ক্ষুদ্র লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রানে, ফলে তারা এখন এগিয়ে আছে ৫২ রানে। হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন ইয়াসভি জয়সাওয়াল। আর ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নাইট ওয়াচ ম্যান আকাশ দীপ।
‘কখনো কাউকে এভাবে ব্যাটারকে নিয়ে হাঁটতে দেখিনি’
৬ মিনিট আগে
খানিকটা পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল সাবধানী। দুই ওপেনার ৪৬ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন। ৭ রান করা লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জশ টাং। এরপর সাই সুদর্শনকে থিতু হতে দেননি গাস অ্যাটকিনসন। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেই বিপর্যয় বেশ ভালোই সামাল দিয়েছে জয়সাওয়াল।
এর আগে ভারতকে দল আউট করে দিয়ে ব্যাট হাতেও দিনের শুরুটা রাঙিয়েছিল। লাঞ্চের সময় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৯ রান। অনেকেই ভেবেছিলেন লাঞ্চের হয়তো আরেক সেশনের মধ্যেই ভারতের ওপর ছড়ি ঘোরানো শুরু করবে ইংল্যান্ড। তবে তেমনটা হয়নি ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট শুরুতে ভারতীয় বোলারদের চেপে ধরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু লাঞ্চের পর মোহাম্মদ সিরাজের এক ঝড়ো স্পেলে (৮ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট) ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ।

অলি পোপ, জো রুট ও জ্যাকব বেথেলকে ফিরিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান আনেন সিরাজ। পোপ এলবিডব্লিউ হন। ইংলিশ এই ব্যাটারকে রিভিউ নিয়ে ফেরায় ইংল্যান্ড, এরপর রুট রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হন এবং বেথেল রিভিউ নেয়ার সাহস করেননি। তিনজনই হয়েছেন এলবিডব্লিউ।
তিনটি ক্যাচ মিসে হতাশা বাড়ল ইংল্যান্ডের
১ ঘন্টা আগে
এরপর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাও পার্শনায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হন। জ্যাক ক্রলির উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি জো রুটকেও তিনি হাঁসফাঁস করতে বাধ্য করেন। এরপর চা বিরতির আগে মাত্র পাঁচ বলের ব্যবধানে জেমি স্মিথকে দ্বিতীয় স্লিপে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এবং জেমি ওভারটনকে এলবিডব্লিউ করে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন কৃষ্ণা।
চা বিরতির পর ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দিতে ভারতের পেসারদের বেশি সময় লাগেনি। কৃষ্ণা ফেরান গাস অ্যাটকিনসনকে (১১)। পুল শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিড অনে আকাশ দীপের হাতে ধরা পড়েন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর হ্যারি ব্রুককে বোল্ড করে দেন সিরাজ। ৬৪ বলে ৫৩ রান করে লড়াইটা একপ্রকার একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্রুক, তবে সিরাজের নিখুঁত ইয়র্কারে তাঁর ইনিংসের ইতি ঘটে।
চোটের কারণে ক্রিস ওকস ব্যাট করতে না পারায় ২৪৭ রানেই থামে ইংল্যান্ড। ভারতের হয়ে কৃষ্ণা নেন ৬২ রানে ৪ উইকেট, সিরাজ সমানসংখ্যক উইকেট নেন ৮৬ রান খরচায়। একটি উইকেট পান আকাশ দীপ।
দিনের শুরুটা ছিল ইংল্যান্ডের, বিশেষ করে অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিং উপহার দেন ইংলিশদের। দীর্ঘ দুই মাস পর একাদশে ফেরা এই পেসার ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন ২২৪ রানে। ক্রিস ওকসের ইনজুরির পর ইংল্যান্ডের বোলিংয়ে বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে অ্যাটকিনসনের কাঁধে, যা তিনি দারুণভাবে সামলেছেন।
সকালে প্রথম আঘাত হানেন জশ টাং, এই পেসার করুণ নায়ারকে ৫৭ রানে ফিরিয়ে দেন। এরপর ওয়াশিংটন সুন্দর মাত্র পাঁচ বলের মধ্যে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান। অ্যাটকিনসন দ্রুত সিরাজ ও কৃষ্ণাকে ফিরিয়ে দিলে ভারত ১৮ বলের মধ্যে ভারত শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে অল আউট হয়ে যায়।