গিলের রেকর্ডময় দিনে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারে ধস

ছবি: রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির পর শুভমান গিল

সিরিজে সমতা ফেরাতে ভারতের চাই আর ৭ উইকেট। এই মাঠে এখনও জয়ের দেখা পায়নি ভারত। আগের ৮ ম্যাচে ৭টিতেই হেরেছে ভারত। অন্যদিকে একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। তাই ভারতের সামনে রেকর্ড গড়ারও সুযোগ রয়েছে। চতুর্থ দিনে ভারতের এগিয়ে থাকার নেপথ্যে আছেন অধিনায়ক গিল।
রান করার তাড়না নয়, উপভোগের মন্ত্রে সফল গিল
৪ জুলাই ২৫
ভারতীয় এই ব্যাটার প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ বলে ১৬১ রান করেছেন। আর তাতেই ইংল্যান্ডের সামনে প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে পেরেছে সফরকারীরা। ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের নবম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন তিনি।

একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে নেই আর কারো। এজবাস্টনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান করেছেন গিল। এক টেস্টে তার চেয়ে বেশি রান আছে শুধু একজনেরই। ১৯৯০ সালে লর্ডসে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ৪৫৬ রান করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ (৩৩৩ ও ১২৩)।
১ বছর পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ
৫ জুলাই ২৫
শেষের দিকে ভারতের ইনিংস টেনেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ১১৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। এ ছাড়া ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং করে ৫৮ বলে ৬৫ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পান্ত। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান জ্যাক ক্রলি।
ইনিংস বড় করতে পারেননি ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার বেন ডাকেটও। তিনি আউট হয়েছেন ২৫ রান করে। জো রুট ফিরেছেন ৬ রান করে। ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের মধ্যে দুটি উইকেটই নিয়েছেন আকাশ দীপ। আর একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। অলি পোপ ২৪ ও হ্যারি ব্রুক ১৫ রান করে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
এর আগে ১ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে চতুর্থদিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। দিনের নবম ওভারে করুণ নায়ারকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে উইকেট এনে দেন ব্রাইডন কার্স। ৫৫ রান করে আউট হয়েছেন লোকেশ রাহুল। এরপর পান্তকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১১০ রান যোগ করেন গিল। ৬৫ রান করে পন্তের বিদায়ের পর গিলের রেকর্ড যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন জাদেজা।