গাভাস্কারের মুখে ‘স্টুপিড’ শুনে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন পান্ত

ছবি: সুনীল গাভাস্কার (বামে) ও ঋষভ পান্ত (ডানে), ফাইল ফটো

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের মার্চে পান্ত হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন। এমনকি নিজের ফোনও বন্ধ রাখতেন বেশিরভাগ সময়।
জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে পান্তকে তিরস্কার করল আইসিসি
২৪ জুন ২৫
এমনটা তিনি করেছিলেন অনুশীলনে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার জন্য। কোচ, ট্রেনার বা পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগের দরকার হলে অল্প সময়ের জন্য ফোন চালু করতেন। বাকিটা সময় একান্তেই কাটিয়েছেন মাঠ আর জিমে।

ভারতের সাবেক কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই বলেন, 'সে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। যখন সে ফ্রি থাকত, আমাকে জিমে নিয়ে যেত। ক্লান্তি বা ওয়ার্কলোডের ব্যাপারে বেশি ভাবত না। সব সময় বলত, কাজ করে যেতে হবে।'
টেন্ডুলকারের নাম অ্যান্ডারসনের পরে কেন, ক্ষোভ গাভাস্কারের
২৩ জুন ২৫
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে স্কট বোল্যান্ডকে স্কুপ করতে গিয়ে আউট হন পান্ত। নাথান লায়নের হাতে ধরা পড়া সেই সহজ ক্যাচের পর ধারাভাষ্যকক্ষে বসে গাভাস্কার তাকে তিনবার ‘স্টুপিড’ বলেন। পরে মন্তব্য করেন, 'পান্তের ভারতের নয়, অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমে যাওয়া উচিত।'
সেই ঘটনা অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ১৩৪ ও ১১৮ রানের ইনিংস খেলে জবাব দেন পান্ত। প্রথম ইনিংসের পর ডিগবাজি দিয়ে উদযাপন করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরির পর আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি, যদিও গাভাস্কার আরেকটি ডিগবাজি প্রত্যাশা করেছিলেন।
সেই ম্যাচটি অবশ্য ভারত জিততে পারেনি। শেষ দিনে 'বাজবল' খেলে ইংল্যান্ড জিতে যায় পাঁচ উইকেটে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২ জুলাই এজবাস্টনে। এরপর টেস্ট তিনটি হবে লর্ডস, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড এবং দ্য ওভালে।