২ ডিসেম্বর পর্দা উঠতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির চতুর্থ আসরের। ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএল টি-টোয়েন্টির নিলামে নিজের নাম নিবন্ধন করেছেন অশ্বিন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া টুর্নামেন্টে এমআই এমিরেটস, দুবাই ক্যাপিটালস, আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মতো আইপিএলের তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পেতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাবে তারা। এ ছাড়া ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বিগ ব্যাশের আগামী আসর। প্রায় কাছাকাছি সময়ে হলেও দুইটি টুর্নামেন্টেও খেলতে দেখা যেতে পারে তাকে। দুইটিকে সুযোগ পেলে শুরুতে আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলে পরে বিগ ব্যাশে যাবেন তিনি। বিগ ব্যাশের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ ইতোমধ্যে প্রস্তাবও পেয়েছেন ভারতের সাবেক এই স্পিনার।
অশ্বিনকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিডনি সিক্সার্স, সিডনি থান্ডার্স, টিম পেইনের অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। এ ছাড়া তাকে দলে নিতে চায় রিকি পন্টিংয়ের হোবার্ট হারিকেন্সও। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে চলতি আসরে খেলতে দেখা যাবে রিশাদ হোসেনকে। নিজের খেলার উন্নতির জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) বাদ দিয়ে বিগ ব্যাশে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অনাপত্তিপত্রও পেয়েছেন। এমনটা হলে রিশাদ ও অশ্বিনকে খেলতে দেখা যেতে পারে একই দলের হয়ে। ২০০৯ সালে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয় অশ্বিনের। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের হয়েই খেলেছেন তিনি। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতেও চেন্নাইকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ৩৮ বছর বয়সি এই স্পিনার।
চেন্নাই আইপিএলে নিষিদ্ধ হলে ২০১৬ সালে অশ্বিন যোগ দেন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসে। পরের বছর খেলেন পাঞ্জাব কিংসে। দুই মৌসুম দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলে ২০২২ সালে প্রথমবার আসেন রাজস্থান রয়্যালসে। টানা তিন মৌসুমে ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন তাদের হয়ে। গত মৌসুমে খেলেছেন চেন্নাইয়ের জার্সিতে। অবসর নেয়ার আগে ২২১ ম্যাচে ৭.২০ ইকনোমি রেটে ১৮৭ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন।