মঙ্গলবার তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই ম্যাচের আগেও বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের ক্ষত ভুলতে পারছে না লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা মনে করেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা বাজেভাবে হেরেছে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই হার ভুলেই মাঠে নামতে হবে তাদের।
এ প্রসঙ্গে আসালাঙ্কা বলেন, 'হ্যাঁ, আমরা সবাই জানি ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। সুপার ফোরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ, কারণ গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা বাজেভাবে হেরেছি। কিন্তু আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটা ভুলে যেতে হবে এবং সামনের ম্যাচগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যদি পরের দুটি ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে সহজেই ফাইনালে উঠতে পারব।'
এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচ হয়েছে দুবাইতে। তবে এবার আবুধাবিতে মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কা। দুবাইয়ের সঙ্গে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেটের পার্থক্যটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন আসালাঙ্কা। তিনি মনে করেন, আবুধাবিতে স্পিনারদের চেয়ে ব্যাটার ও পেসাররাই বেশি সুবিধা পাবেন। তবে ভালো উইকেটের সুফল নিয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চান তিনি।
আসালাঙ্কা বলেন, 'হ্যাঁ, আবুধাবির উইকেটের কথা যদি বলি, তাহলে দুবাইয়ের চেয়ে খানিকটা শুষ্ক। এটা স্পিনারদের চেয়ে ব্যাটিং এবং পেস বোলারদের জন্য বেশি সহায়ক। এজন্য আমার মনে হয় আবুধাবির উইকেটে খানিকটা বাউন্স থাকবে। আমি আশা করছি পেসারদের জন্য ভালো সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমাদের পেসাররা দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছিল, যদিও এটা খুবই বিরল। তবে পরের ম্যাচে উইকেট যদি ভালো হয়, তাহলে আমরা এমন কিছু আশা করতে পারি। আমরা এখনো উইকেট দেখিনি, কারণ আজ রাতে আমরা পিচ রিপোর্ট পাব। স্বাভাবিকভাবে দুবাইয়ের চেয়ে আবুধাবির উইকেট ভালো।'
এশিয়া কাপে প্রায় প্রতি ম্যাচেই চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলেছে শ্রীলঙ্কা। দুই পেসার দুশমান্থ চামিরা ও নুয়ান থুশারার সঙ্গে স্পিন আক্রমণ সামলেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুনিথ ওয়েলালাগে। বাকি চার ওভার ভাগাভাগি করে করতে হয়েছে দাসুন শানাকা ও আসালাঙ্কাকে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম বোলারের অভাব বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে লঙ্কানরা।
এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে আসালাঙ্কা বলেন, 'হ্যাঁ, আমিও এটাই বলেছি। আমাদের কেবল ৪ জন বোলার আছে। তাদের ১৬ ওভারের বাইরে আমি, দাসুন শানাকা ও কামিন্দুকে ৪ ওভার করতে হয়। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সামনে এগোতে চাইলে আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ আছে। আমাদের যদি আরও একজন বোলার থাকত, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতো। কারণ অনেক সময় আপনার মূল বোলারদের ১৬ ওভারের মাঝে ২-৩ ওভার খারাপ যেতে পারে। আমরা সবাই জানি, খেলার আগে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না।'