রাগান্বিত ও বিচলিত ছিলেন গেইল!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দুবাইয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ৩৬তম ম্যাচে দুইবার সুপার ওভারের রোমাঞ্চ উপভোগ করেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার সেই ম্যাচে অবশ্য শেষ হাসি হেসেছে লোকেশ রাহুলের দল। তবে পাঞ্জাবের এই জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল।
এদিন মুম্বাইয়ের দেয়া ১৭৬ রানের তাড়ায় পাঞ্জাবও ১৭৬ রানে থেমে গেলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সেই সুপার ওভারে পাঞ্জাবের হয়ে রাহুল ও অগারওয়াল মাত্র ৫ রান নিতে সক্ষম হন। এরপর ৬ রানের সহজ সমীকরণে মুম্বাইকে আবারো ৫ রানেই আটকে রাখে পাঞ্জাব। ফলে সুপার ওভারও হয়ে যায় টাই!

এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৩টি সুপার ওভারের সাক্ষী হয়েছেন আইপিএলের দর্শকরা। সেই সুপার ওভারগুলোয় একটি ছক্কাও মারতে পারেননি কোন দলের ব্যাটসম্যান। কিন্তু এখানেই ব্যতিক্রম ক্যারিবিয়ান গেইল। একই ম্যাচে দ্বিতীয় সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষে ব্যাট করা গেইল প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে জয়ের ভীত গড়ে দেন।
মজার ব্যাপার হলো সুপার ওভারে ব্যাট করতে গিয়ে স্নায়ুচাপে ভোগার বদলে প্রথম ৪০ ওভারেও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারন না হওয়ায় দলের প্রতি রাগান্বিত ও বিচলিত ছিলেন গেইল! তবে ক্রিকেট খেলায় যেকোনো সময় যে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি।
আইপিএলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে তিনি বলেন, 'না, আমি নার্ভাস ছিলাম না (হাসি)। দলের জয় নির্ধারণ না হওয়ায় আমি বরং কিছুটা বেশি রাগান্বিত ও মর্মাহত ছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট একটি খেলা এবং এইসব ঘটনা এখানে ঘটতেই পারে।'
প্রথম সুপার ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর বোলিং তোপে মাত্র ৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিল পাঞ্জাব। পরে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের দেয়া ৫ রানই টপকাতে পারেনি রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি। এজন্য মোহাম্মদ সামিকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন গেইল।
ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটিং দানব বলেন, 'সামিই আমার চোখে ম্যাচ সেরা। রোহিত ও ডি ককের বিপক্ষে সে যেভাবে ৫ রান প্রতিহত করেছে, সত্যিই দুর্দান্ত। এটি একটি অসাধারন কাজ। নেটে আমি তার মুখোমুখি হয়েছি এবং আমি জানি সে জায়গামত ইয়র্কার দিতে পারে। আজ (গতকাল) সে সেটাই করেছে এবং দলের জন্য জয় নিয়ে এসেছে।'