এইচপির কাছে হারলেন নাইম-আফিফরা

ছবি: বাংলাদেশ এইচপি দলের সঙ্গে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান, ক্রিকফ্রেঞ্জি

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৩২ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয় বাংলাদেশ টাইগারের। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন জিসান আলম। ডানহাতি ওপেনারকেই ফিরতে হয় আগে। ৩ চার ও এক ছক্কায় ১৪ বলে ২৩ রান করা জিসানকে ফিরিয়ে নাইমের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম আহমেদ।
টি-টোয়েন্টি খেলার অনুমতি পেয়ে বিপিএলে দল পেলেন মুশফিক
৩০ জানুয়ারি ২৫
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ফিরে গেছেন নাইমও। সম্প্রতি জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। এইচপির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নাইম আউট হয়েছেন ১৯ বলে ১১ রান করে। তিনে নেমে সাইফও সুবিধা করতে পারেননি। মেহেদী হাসানের বলে ফেরার আগে করেছেন ১০ বলে ২ রান। চারে নামা অঙ্কন রান আউটে কাটা পড়েছেন মাত্র ১ রানে। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ টাইগার।

৪১ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আফিফ ও আকবর। যদিও তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছে দ্রুতই। আশরাফুল ইসলাম সিয়ামের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন ১৩ রানে। মেহেদী বলে আফিফ আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩০ বলে ২৫ রান। শেষের দিকে রাকিবুল হাসান ১৬ রান করেছেন। তবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ টাইগার। এইচপির হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম ও মেহেদী।
আইপিএল, বিগ ব্যাশ দেখে উদ্ভাবনী শট শেখেন আরিফুল
২ ঘন্টা আগে
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হাবিবুর ও ইফতেখার মিলে ভালো শুরুর চেষ্টা করেছিলেন। তাদের দুজনের ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মুশফিক। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১২ রান করা ইফতেখার। একটু পর হাবিবুর সোহানের উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
মুশফিকের লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন রাকিবুল হাসানের হাতে। ডানহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ২৬ বলে ২৪ রান করে। তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ও প্রিতম কুমার মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। ১১ রান করে পেসার রিপন মণ্ডলের বলে আউট হয়েছেন প্রিতম। আহরার আমিন, অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনরা কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি।
একপ্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন আরিফুল। যদিও ডানহাতি ব্যাটারকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি মুশফিক। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৩৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে। শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটার রানের দেখা না পাওয়ায় ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তোলে এইচপি। বাংলাদেশ টাইগারের হয়ে মুশফিক চারটি এবং মৃত্যুঞ্জয় ও তোফায়েল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।