ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা হল না বাংলাদেশের

ক্রিকফ্রেঞ্জি
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ হাতছানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু সেই সুযোগ লুফে নেয়া তো দূরে থাক, কাছাকাছিও যেতে পারল না লিটন দাসের দল। পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজানো বাংলাদেশকে এদিন মিরপুরে খুঁজেই পাওয়া গেল না। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শেষ টি-টোয়েন্টিতে লজ্জায় ডুবে সিরিজ শেষ করল টাইগাররা। শেষ ম্যাচে হারলেও সিরিজ আগেই জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যাবধানে শেষ করেছে টাইগাররা।

promotional_ad

১৭৮ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দেখেশুনেই করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যেই নাইম শেখ ও তানজিদ হাসানকে নিয়ে ভালো শুরুর আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সালমান মির্জাকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ হারসের তালুবন্দি হন তানজিদ। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছে। ফলে দ্বিতীয় বলেই ০ রানে ফেরেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।


আরো পড়ুন

লিটন আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, ‘তুই আমার দলের মেইন প্লেয়ার’: সাইফউদ্দিন

১০ ঘন্টা আগে
বোলিংয়ের সময় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

তানজিদের ব্যর্থতায় ধাক্কা সামাল দিতে ক্রিজে নাঈম শেখের সঙ্গ দিতে আসেন লিটন দাস। সেই জুটি ভেঙেছেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানি এই পেসারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংস টানতে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি নাইমকে একা রেখে ফেরেন মাত্র ১০ রান করে।


ফাহিমের স্লোয়ার ডেলিভারিতে পুল করার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে মিড অনে আব্বাস আফ্রিদিকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর জাকের আলীও ফেরেন দ্রুত। তাকে আউট করেন সালমান মির্জা। একই ওভারে শেখ মেহেদীকেও বোল্ড করেন পাকিস্তানের এই পেসার। তাতেই বাংলাদেশ ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।


promotional_ad

সেই ধাক্কা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। এক সময় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৪১। সর্বনিম্ন রানের ৭০ রানের রেকর্ড নিঃশ্বাস ফেলছিল বাংলাদেশের ঘাড়ে। তবে সেটা হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দারুণ এক ইনিংসে। সেই সঙ্গে নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদের লড়াইও বড় অবদান রেখেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ একশ পার করতে।


আরো পড়ুন

পাকিস্তান দলে ফিরলেন আফ্রিদি, টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য বাবর

১০ ঘন্টা আগে
বাবর আজম ও শাহীন শাহ আফ্রিদি

শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিন দুটি করে চার ছক্কায় ৩৪ বলে ৩৫ রান করলেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। শেষের দিকে ব্যাটারদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে বাংলাদশের ইনিংস শেষ হয় ১০৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন সালমান। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট যায় ফাহিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝুলিতে। একটি করে উইকেট পান আহমেদ দানিয়েল, সালমান আঘা ও হোসাইন তালাত।


এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছিল পাকিস্তানের টপ অর্ডার। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেই তারা ঘুরে দাঁড়ায়। দলটিকে স্বস্তির শুরু এনে দেন শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। এই দুই ওপেনার মিলে ৮২ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। যদিও সাইম ১৫ বলে ২১ রান করে ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।


একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফারহান। মিরাজের তিন বলের মধ্যে দুটি ছক্কা মেরে মাত্র ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। এরপর মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেছিলেন হাসান নাওয়াজ। তিনি ১৭ বলে ৩৩ রান করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৬ বলে ২৭ ও অধিনায়ক আঘার ৯ বলে অপরাজিত ১২ রান ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি।


বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ একাই নেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারেই তাসকিন বিদায় করেন নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফকে। এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন দুই ম্যাচ পর একাদশে ফেরা নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও সাইফউদ্দিন।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball