ফারুক ও নাফিসকে ধন্যবাদ দিলেন রিশাদ

ছবি: ফারুক আহমেদ (বামে), রিশাদ হোসেন (মাঝে) ও শাহরিয়ার নাফিস (ডানে)

কাশ্মীরের পেহেলগামের হামলাকে কেন্দ্র করে সবশেষ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এমন অবস্থায় রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ড্রোন হামলা হওয়ায় স্থগিত করা হয় পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ। পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয় পিএসএলের বাকি অংশ। যদিও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অনির্দিষ্টকালের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত করে পিসিবি।
ভয় লাগছিল, দুবাইয়ে আসার পর স্বস্তি ফিরেছে: রিশাদ
৪ ঘন্টা আগে৭ মে প্রথম প্রহরে ভারত যখন পাকিস্তানে হামলা চালায় তখন পিএসএল খেলতে রাওয়ালপিন্ডিতে ছিলেন রিশাদ ও নাহিদ। ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ইনচার্জ নাফিস ও ফারুক। সবশেষ কয়েকদিনে রিশাদ ও নাহিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএসএল কর্তৃপক্ষ, পিসিবি সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছেন নাফিস।
এ ছাড়া ইসলামাবাদে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তারা। এদিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিএসএলের প্রধান নির্বাহী সালমান নাসিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ফারুক। এমনকি পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভিকেও মেসেজ পাঠান তিনি। এমন অবস্থায় বিশেষ বিমানে করে রাওয়ালপিন্ডিতে থেকে দুবাইয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে রিশাদ-নাহিদসহ সব বিদেশি ক্রিকেটারদের। রিশাদ জানান, দুবাই পৌঁছার আগ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়ই তাদের সঙ্গে কলে ছিলেন নাফিস।

পিছিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
২২ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘অবশ্যই, বিসিবি সভাপতি এবং শাহরিয়ার নাফিসকে ভাইকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শোকরিয়া জানাই আল্লাহ তাদের হায়াত বাড়িয়ে দিক। উনারা সবসময় আমাদের টেককেয়ার করেছেন এবং আমাদের যথার্থ সাহায্য করেছেন। সবসময় ফোনেই ছিল, যতক্ষণ না আমরা দুবাই আসছি সবসময় তারা যোগাযোগ করেছেন। দোয়া করি এবং তাদের জন্য সুস্থতা কামনা করি।’
রাওয়ালপিন্ডিতে হামলা হওয়ায় পিএসএলের বাকি অংশ করাচিতে আয়োজনের চেষ্টা চালায় পিসিবি। এমনকি সব বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিটিংও করেন পিসিবি সভাপতি। তবে তাদের এমন প্রস্তাবে সায় দেননি বিদেশি ক্রিকেটারদের কেউই। পরবর্তীতে তাদের সবার কনসার্ন দেখে বিশেষ বিমানে সবাইকে দুবাইয়ে পার করে পিসিবি। সবার জন্য এত সুন্দর ব্যবস্থা করায় পিসিবি ও তাদের সভাপতিকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন রিশাদ।
তিনি বলেন, ‘আসলে মিটিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের কী কনসার্ন, আমাদের ভেতরে কী চলছে। মোটামুটি সব বিদেশি খেলোয়াড়রা বলেছে আমাদের যদি একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়—সেটা হচ্ছে দুবাই ছাড়া একমাত্র আর কোনো অপশন নাই। উনি চেষ্টা করেছিল করাচিতে খেলা নিয়ে যাওয়ার। আমাদের কাছে উনি হয়তবা লুকিয়েছিল করাচিতে তার আগেরদিন হয়তবা দুইটা ড্রোন পড়েছিল। যেটা আমরা পরে জানতে পারছি।’
‘যা হয়েছে আলহামদুল্লিাহ ভালো হয়েছে। পরে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং উনিও ভালো সহায়তা করেছে। ধন্যবাদ উনাকেও (পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি)। উনি আল্লাহর রহমতে আমাদের সবাইকে দুবাইয়ে পৌঁছার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ভালোভাবে। পিসিবিকে ধন্যবাদ দিব এজন্য আমাদেরকে সহীহ সালামতে পৌঁছে দিয়েছে।’