কেন শান্ত, কেন নেই মিরাজ, ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

ছবি: নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ

গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্ত না থাকায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব করেছিলেন লিটন। সেই সময় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এবার একেবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। নেতৃত্ব হারালেও দলে টিকে গেছেন শান্ত। এটাই আসন্ন এই দুই সিরিজের দলে বড় চমক।
চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও শান্ত বললেন, খুব বেশি খুশি নই
৩০ এপ্রিল ২৫
শান্ত টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত ছিলেন না। সর্বশেষ বিপিএলে একের পর এক ম্যাচে একাদশের বাইরে বসে সময় কাটাতে হয়েছিল তাকে। এরপরও অভিজ্ঞতার বিচারে শান্তর প্রতি ভরসা রেখেছেন নির্বাচকরা। এ কারণেই আপাতত টি-টোয়েন্টি দলে টিকে গেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরে আমাদের সৌম্য আছেন। ৯০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। লিটন দাস আছেন। এরপর আপনি তাকান, তাহলে দেখবেন যে বিস্তর ফারাক হয়েছে। শান্তর ৫০ হয়নি। ৪০-এর আশেপাশে ম্যাচ। তাই কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলের সঙ্গে আপনার নিতে হবে।’

মে ও জুন মাসে আরব আমিরাত-পাকিস্তান সিরিজে সাত টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের দলে রাখা হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজকে। বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবও। মিরাজ বাদ পড়েছেন শেখ মেহেদীর সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে। প্রধান নির্বাচক দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যাও।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতিয়ে ৬ জনকে ধন্যবাদ মিরাজের
৩০ এপ্রিল ২৫
তিনি বলেন, ‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সেটার প্রতিফলন হয়েছে। শুধু জাতীয় দলে না। এরই মধ্যে বিশ্বকাপে আপনারা দেখবেন যে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম মিরাজকে। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’
পেস বোলিং আক্রমণে এসেছে একটি বড় পরিবর্তন। তাসকিন আহমেদের বদলে দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। তাসকিন চোটে ভুগছেন। এরই মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ দিয়েছে ইংল্যান্ডে। তাই বাধ্য হয়েই এই পরিবর্তন করতে হয়েছে নির্বাচকদের। পাশাপাশি শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও জাকের আলী অনিকের ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।
এ প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘একই সঙ্গে আমাদের হাতে যদি সুযোগ থাকত যে নাহিদ রানা যথারীতি আমাদের সঙ্গে আছে, তাহলে কিন্তু পাঁচ সিমারের জায়গায় চার পেসার নিতে পারতাম। সেখানে একটা ব্যাটার বাড়াতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমাদের কাছে ছিল না। আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। লিটন দাস যদি তিন নম্বরে থাকেন, তাহলে মিডল অর্ডারে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও অনিক আছেন।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'তার পাশাপাশি শান্তর নামটাও সেখানে আছে। তাই আরেকটা নাম জায়গা দেওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না। সুযোগ থাকলে আমি তাকে নিতাম। তিনি আমাদের টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনায় একটু পেছন দিকে আছেন। কিন্তু তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চমৎকার ক্রিকেটার। তাকেও আমরা খেলার মধ্যে রাখব। যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে না থাকেন।'