বাংলাদেশ - ভারত সিরিজ

ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:32 বৃহস্পতিবার, 09 মে, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি শেষে নিগার সুলতানা জ্যোতি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বললেন, ‘এই ম্যাচে ব্যাটারদের এফোর্ট ভালো ছিল। ব্যাটিং নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’ ব্যাটিংয়ে ভালো এফোর্ট দিলেও ভারতের ১৫৭ রান তাড়া করে জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। রিতু মনির ৩৭ এবং শরিফা খাতুনের অপরাজিত ২৮ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ ম্যাচে ২১ রানে হেরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াট বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৫৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সোবহানা মোস্তারি ও দিলারা আক্তার দোলা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১৯ রান। সোবহানাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তিতাস সাধু। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করেছিলেন সোবহানা। কভারে দাঁড়িয়ে রাধা দারুণ এক ক্যাচ লুফে নিলে ১৩ রানে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে।

শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা দিলারা ফিরেছেন রাধার বলে পূজার হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলের প্রয়োজনে এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি জ্যোতি। রাধার ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৭ রান করা জ্যোতি ফেরার পর রুবাইয়া হায়দার ঝিলিকও আউট হয়েছেন দ্রুতই। রাধার বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ২০ রান করা রুবাইয়া।

৫২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন শরিফা ও রিতু। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৭ রান। রিতুকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আশা সোবহানা। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৩৭ রান করা রিতু। আরেক ব্যাটার শরিফা ২৮ এবং রাবেয়া ১৪ রানে অপরাজিত থাকলেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খানিকটা ধীরগতির শুরু করেন শেফালি ভার্মা ও স্মৃতি মান্ধানা। প্রথম ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান তোলার পর পঞ্চম ওভারে এসে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় তারা। সুলতানা খাতুনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে থাকা ফারিহা ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ রান করা শেফালি। ডানহাতি এই ওপেনার ফেরার পর পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ২৬ রান এনেছেন হেমলতা ও স্মৃতি।

যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে ভারত। সাবধানী ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন স্মৃতি ও হেমলতা। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। বাঁহাতি এই স্পিনারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩৩ রান করা স্মৃতি। একটু পর ফেরানোর সুযোগ ছিল হেমলতাকেও। তবে তার ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

এদিকে হারমানপ্রীত ও হেমলতার ব্যাটে একশ পেরোয় সফরকারীরা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে যোগ করেছেন ৪২ বলে ৬০ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন নাহিদা। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৩০ রান করা হারমানপ্রীত। ভারতের অধিনায়ক ফেরার পরের ওভারে আউট হয়েছেন হেমলতাও।

রাবেয়ার ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েছেন সোবহানা মোস্তারির হাতে। হেমলতার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান। একই ওভারে আউট হয়েছেন সাজিভান সাজানা। শেষ দিকে রিচা ঘোষের ১৭ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা ও রাবেয়া।