আইপিএল

মিলার-রশিদকে থামিয়ে দিল্লির রোমাঞ্চকর জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:49 বুধবার, 24 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মুকেশ কুমারের লেগ স্টাম্পে করা ইয়র্কার লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারলেন ডেভিড মিলার। পরের বলটা করার জন্য একটু সময় নিলেন মুকেশ। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিটা করলে প্রায় একই জায়গায় তবে একটু পিছিয়ে ফুলার লেংথে। প্রায় একই জায়গায় বল পেয়ে ফ্লিক করে স্কয়ার লেগ দিয়েই খেললেন মিলার। আগের বলে চার রান পেলেও এবার পেতে রাখা ফাঁদে পড়লেন সাউথ আফ্রিকার বিধ্বংসী এই ব্যাটার। রাসিক সালামের ক্যাচে মিলার ফিরলেন ২৩ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে।

ধারাভাষ্য কক্ষে কেভিন পিটারসেন বললেন, মিলারের উইকেটটা ম্যাচ নিজেদের দখলে নেয়ার মতো। শেষ পর্যন্ত ইংলিশ ধারাভাষ্যকারের কথাই সত্যিই হয়েছে। যদিও জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন সাই কিশোর ও রশিদ খান। রাসিকের দুই বলে দুই ছক্কা মারার গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৭ বলে ১৯ রান। এমন সময় রাসিকের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন কিশোর। ফলে শেষ ৬ বলে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। রশিদ তখনও স্ট্রাইক প্রান্তে থাকায় আশায় ছিলেন সফরকারীদের সমর্থকরা।

হেলিকপ্টার শটে প্রথম বলেই চার মারলে ম্যাচ জমে উঠে। পরের বলে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে মেরেছেন আরও এক চার। শেষ ৪ বলে যখন ১১ রান দরকার তখন টানা দুই বলে ডট দিয়েছেন রশিদ। এক রান করে নেয়ার সুযোগ থাকলেও দুবারই মুহিত শর্মাকে ফিরিয়েছেন। পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে গুজরাটকে আরও কাছে নিয়ে যান রশিদ। শেষ বলে ছক্কা মারলে গুজরাটের জয় আর চার মারলে সুপার ওভার। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে শেষ বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করলেও মুকেশের লো ফুলটসে ব্যর্থ হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দিল্লির কাছে গুজরাটকে হারতে হয়েছে ৪ রানে।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ২২৫ রান তাড়ায় গুজরাটের শুরুটা ভালো হয়নি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর বিকল্প ছিল না গুজরাটের সামনে। অথচ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন শুভমান গিল। অ্যানরিখ নরকিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন গুজরাটের অধিনায়ক। তবে ব্যাটের নিচের অংশে লাগায় মিড অফে সহজ ক্যাচ লুফে নেন অক্ষর প্যাটেল।

দ্রুত প্রথম উইকেট হারালেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮২ রান। কুলদীপ যাদবের বলে কভার দিয়ে খেলতে গিয়ে ঋদ্ধিমান ক্যাচ দিয়েছেন অক্ষরের হাতে। ৩৯ রান করা ঋদ্ধিমান ফেরার পর দ্রুতই আউট হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। তিনে নামা সুদর্শন ৩৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে গুজরাট।

সেখান থেকে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন মিলার। দারুণ ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ২৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে কিশোর ৬ বলে ১৩ এবং রশিদ ১১ বলে ২১ রান করলেও জয় পাওয়া হয়নি গুজরাটের। দিল্লির হয়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পৃথ্বী শর ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলতে নামা রাসিক। এ ছাড়া দুটি উইকেট নিয়েছেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নরকিয়া, মুকেশ এবং অক্ষর।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। স্বাগতিকদের হয়ে সাত্র ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছেন পান্ত। এ ছাড়া অক্ষর ৪৩ বলে ৬৬ এবং শেষ দিকে ট্রিস্টিয়ান স্টাবস খেলেছেন মাত্র ৭ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। গুজরাটের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ ওয়ারিয়র। একটি উইকেট পেয়েছেন আফগান স্পিনার নূর আহমেদ।