আইপিএল

চেন্নাইয়ের হারে মুস্তাফিজের দোষ দেখেন না সুজন

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:47 বুধবার, 24 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ম্যাচের শেষ ওভারে জেতার জন্য লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। হিরো হওয়ার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভিলেন বনে গেছেন মুস্তাফিজ। নো বলসহ চারটি ডেলিভারিতে ১৯ রান দিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে চেন্নাইয়ের হারের মুস্তাফিজের দোষ দেখেন না খালেদ মাহমুদ ‍সুজন। আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মনে করেন, মার্কোস স্টইনিসের সামনে যেকেউ বোলিং করলেও হারতো চেন্নাই।

লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে বল হাতে নিয়েই বাজিমাত করেছিলেন মুস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে বাঁহাতি এই পেসার নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুলের উইকেট। এরপর মিডল অর্ডারে বোলিং আনা হয় তাকে। দ্বিতীয় ওভারে ফিজ দিয়েছিলেন ১৩ রান। পরের ওভারেও ১৫ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। তবুও শেষ ওভারে বাংলাদেশের এই পেসারের উপর আস্থা রেখেছিল চেন্নাই। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।

স্টইনিসের সামনে এলোমেলো লেংথে বোলিং করে দিয়েছেন ১৯ রান। ম্যাচ শেষে ৩.৩ ওভারে মুস্তাফিজ খরচ করেছেন ৫১ রান। চেন্নাইয়ের হারের পেছনে বাজে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে বাঁহাতি এই পেসারকেও দায় দিচ্ছেন অনেকে। তবে মুস্তাফিজকে দোষ দেয়ার পক্ষে নন সুজন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন বলেন, ‘শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজকে সবাই দোষ দিলেও আমি কোনোভাবেই দোষ দেই না মুস্তাফিজকে।’

বাংলাদেশের এই পেসারের এমন বোলিংয়ে চেন্নাইয়ের হারকে খেলার অংশ হিসেবেই দেখছেন সুজন। চেন্নাইয়ের হয়ে এবারের মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছিল মুস্তাফিজের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১২ উইকেট। তবে বেশ কিছু ম্যাচে খরুচে ছিলেন। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হলেও সুজনের চাওয়া ব্যাটিং বান্ধবে মুস্তাফিজকে সাবধান হতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘ক্রিকেটে এটা খেলার অংশ। তখন স্টইনিস যেভাবে মারছিল আসলে স্বাভাবিক কথাই... যে কোন বোলারের ক্ষেত্রেই এটা করতে পারতো। কিন্তু মুস্তাফিজ যে ম্যাচগুলো জিতিয়েছে...দারুণ কিছু ম্যাচ জিতিয়েছে, সেটাও মানতে হবে। খেলোয়াড়দের খারাপ দিন, ভালো দিন থাকবেই। উইকেট থাকে, হয়তো যে উইকেটে মুস্তাফিজের স্যুট করেনি বা গ্রিপ করেনি বল, এটা হতেই পারে। কিন্তু মুস্তাফিজকে কেয়ারফুল হতে হবে, যেটা আমার কথা।’

‘যখন উইকেট এরকম ফ্ল্যাট থাকবে। তখন তার অস্ত্র প্রয়োজন, ওইখানে তার স্টোক বলটা কি হওয়ার উচিত। কারণ অন্যান্য যে উইকেটে মুস্তাফিজের বল গ্রিপ করবে সেখানে মুস্তাফিজ খুবই ভয়ংকর। কারণ ওর মতো ভয়ংকর বোলার আর কেউ নাই। বা উইকেট যখন বেশি ফ্ল্যাট হয়ে যাবে, তখন ওকেও সেটা এখন থেকেই, অবশ্যই সে এটা চিন্তা করে। নিশচই ওর মাঝে কিছু আছে।’