‘বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিল আফগানিস্তান’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতা উচিত ছিল।’ আক্ষেপের সুরে এমনটা বলেছিলেন মোহাম্মদ নবি। সেই হার তাদের কতটা পুড়িয়েছে সেটা বোঝা গেছে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে গিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে থাকতো আফগানিস্তান। স্বপ্নের মতো বিশ্বকাপ কাটানো আফগানদের বাংলাদেশের বিপক্ষে হার পরবর্তীতে অঘটন হিসেবে দেখেছেন। টাইগারদের বিপক্ষে হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জোনাথন ট্রট জানান, তারা বেশি চাপ নিয়ে ফেলেছিলেন।
বিশ্বকাপে দুই দলের জন্যই সেটি ছিল প্রথম ম্যাচ। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লেতে ২২ রান করা ইব্রাহিম জাদরানকে হারালেও আফগানদের এগিয়ে নিতে থাকেন রহমত শাহ এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। একটা সময় আফগানিস্তানের রান ছিল ২ উইকেটে ১১২। সেখান থেকে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে নাকাল হয়ে পড়ে আফগানরা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের পর থেকেই যেন ভিন্ন পথে হাঁটতে থাকে দুই দল। বাংলাদেশ যেখানে পথের দিশা খুঁজে পাচ্ছিলো না সেখানে নিজেদের স্বপ্নযাত্রায় উড়ছিল আফগানিস্তান।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের পর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও হারায় হাশমতউল্লাহ শাহিদীর দল। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শেষ করেছে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে। এদিকে বাংলাদেশের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা আফগানিস্তান ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেদিন প্রথম ম্যাচে জিততে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা একটু সহজ হতো আফগানদের।
সেই ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইএসপিন ক্রিকইনফোকে ট্রট বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি বাজে ছিল। আমরা হয়তো প্রথম ম্যাচ বলে নিজেদের ওপর বেশি চাপ দিয়ে ফেলেছিলাম। ব্যর্থও হই পুরোপুরি।’
ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা পর অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলকেও হারানোর সুযোগ ছিল আফগানিস্তানের সামনে। তবে সেটা সম্ভব হয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কারণে। ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে আফগানিস্তানের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন ম্যাক্সওয়েল।
সেই ম্যাচ নিয়ে ট্রট বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি কঠিন ছিল। আর আমাদের হারাতে ম্যাক্সওয়েলকে খুব, খুব বিশেষ কিছু করতে দেখেছি। আমাদের হারাতে গেলে যদি মানুষকে এভাবেই খেলতে হয়, তাহলে যতক্ষণ আমরা সামর্থ্যের সব দিয়ে চেষ্টা করছি, ততক্ষণ আমি কিছু মনে করব না। কিন্তু আমি এখনো অনেক কিছুই মনে করি (ওই ম্যাচ নিয়ে)!’