ক্রিকেটারদের ফিটনেসে সন্তুষ্ট নিক লি

ছবি- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। ফলে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে একটা শঙ্কা কাজ করছিল টিম ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলের মনে। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় পরেও ক্রিকেটারদের ফিটনেস দেখে বেশ সন্তুষ্ট জাতীয় দলের ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স বিভাগের প্রধান নিকোলাস ট্রেভর লি।
চলতি মাসের শেষ দিকে পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। টুর্নামেন্টটি খেলতে হলে বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষায় উতরাতে হবে জাতীয় দল, এইচপি এবং জাতীয় দলের বাইরে থাকা মোট ১২৩ ক্রিকেটারকে। সেই ফিটনেস পরীক্ষার প্রথম দিনে ক্রিকেটারদের ফিটনেস অবাক করেছে সকলকে।

ক্রিকেটারদের ফিটনেস বিষয়ে প্রধান ট্রেনার নিক লি বলেন, 'জাতীয় দল এবং এইচপি দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা এবং ফিটনেস দেখে আমি খুবই সন্তুষ্ট। করোনাভাইরাসের কারণে যখন লকডাউন শুরু হয় তখন আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি কার কাছে কী ধরণের সরঞ্জাম ছিলো, কে কী রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। পরে বিসিবি খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবার জন্য সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল।'
'নির্বাচকদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্লেয়ার পুলের মধ্যে থাকা সব খেলোয়াড়কে আমরা ব্যক্তিগত পরিকল্পনা দিয়েছিলাম যা তারা বাসায় মেনে চলতে পারবে। পাচ-ছয় মাস পর ট্রেনিং আয়োজনের সময় প্লেয়ারদের ফিরে আসা দেখে আমি খুবই খুশি। তারা সবাই লকডাউনে তাদের শারীরিক অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিলো।'
করোনাভাইরাস ক্রিকেটারদের জন্য সুফল বয়ে এনেছেন বলে মনে করেন নিক লি। ক্রিকেট না খেলতে পারলেও তারা ফিটনেস নিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। ফলে ক্রিকেটাররা আগের থেকেও বেশি ফিট বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে নিক লি আরো বলেন, 'জাতীয় দল এবং এইচপির খেলোয়াড়রা বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন সেটি নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। আমার যেটি ভালো লেগেছে সেটি হলো, করোনাভাইরাসের কারণে তারা ক্রিকেট খেলতে না পারলেও এটি তাদের ফিট হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।'
'আপনি যদি বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তারা বলবে তারা আগের চেয়ে এখন বেশি ফিট। কারণ এই সময়ের মধ্যে তারা ক্রিকেট খেলতে পারেনি কিন্তু ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পেরেছিলো।'