কাশ্মির থেকে আইপিএল, ছক্কায় বাজিমাত সামাদের

ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক ???িপোর্ট ||
বয়সটা কেবল ১৮ বছর। বেড়ে উঠা পৃথিবীর স্বর্গ খ্যাত কাশ্মিরে। ছিমছাম গড়নের আব্দুস সামাদের মুখজুড়ে তারণ্যের ছাপ স্পষ্ট এখনো। তবে ছক্কার প্রশ্ন এলেই বনে যান সিদ্ধহস্ত। কাশ্মির থেকে আইপিএল মঞ্চ, সামাদের পুরোটা জুড়েই ছক্কার গল্প।
আরও বছর দুয়েক আগের কথা। ইরফান পাঠান ট্রায়ালে দেখছেন জম্মু আর কাশ্মিরের তরুণদের বেছে নেয়ার। হঠাৎ ভাবলেশহীনভাবে বল মারতে শুরু করলেন ১৬ বছর বয়সের এক তরুণ। চোখে লেগে গেল ইরফান পাঠানের। এরপরই বদলে গেল সামাদের জীবন।
জোরে ব্যাট চালাতে পারলেও ইরফান দেখলেন হাফ সেঞ্চুরিই নেই জেলা ক্রিকেটে। সামদকে ডাকলেন তিনি। নিশ্চয়তা দিলেন তাকে সুযোগ করে দেয়ার। তবে তার আগে তাকে উইকেটের মূল্য বুঝতে হবে জানিয়ে দিলেন সেটাও।

রঞ্জিতে সুযোগ পেলেন সামাদ। এরপর? গত আসরে ১৭ ইনিংস খেলে করেন ৫৯২ রান। হাঁকান সবচেয়ে বেশি ৩৬ ছক্কা। প্রায় ১১৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি।
চলতি আইপিএলের আগে মিডল অর্ডারে একজন ফিনিশার খুঁজছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তার সতীর্থ ছিলন মেওয়াডি। সামাদকে দলে ভেড়াতে লক্ষ্মণকে পরামর্শ দেন তিনি।
এরপরই চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে কাশ্মির থেকে আইপিএলে সুযোগ পান আব্দুস সামাদ। নিজের প্রথম আসরে সামর্থ্যের জানানও ভালোভাবেই দিয়েছেন হার্ড হিটার এই ব্যাটসম্যান। ৮ ইনিংস ব্যাট করে সংগ্রহ করেছেন ১১১ রান। রানের চেয়ে বেশি নজর কাড়া ছিল তার স্ট্রাইক রেট। টুর্নামেন্টে ১৭০.৭৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে হায়দরাবাদের যখন জয়ের আশা প্রায় শেষ, তখনই আরেকবার নিভে যাওয়া প্রদীপ জ্বালেন সামাদ। ১৬ বল থেকে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের বন্দরে।
যদিও শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে তিনি আউট হয়ে যান। তার দলও জয় পায়নি, পৌঁছতে পারেনি আইপিএলের ফাইনালে। তাতেই শেষ হয় সামাদের প্রথম আইপিএল।