১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির, ফাইনাল ৯ মার্চ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মাসখানেক আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়স্ত্রক সংস্থা সূচি প্রকাশ না করলেও ক্রিকবাজ জানিয়েছে, সম্ভাব্য সূচি চূড়ান্ত করে করা হয়ে গেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠতে পারে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির। যার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ।
২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম মাঠে গড়াবে ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। সবশেষ আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তন। এবারের আসরের সূচি চূড়ান্ত না হলেও ২০ দিনের টুর্নামেন্ট হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহকে বিবেচনায় নেয়া হলেও আপাতত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু পরিকল্পনা করছে আইসিসি।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ক্রিকেট বোর্ডগুলো যাতে নিজেদের সুবিধা মতো নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আইসিসি। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), সাউথ আফ্রিকার এসএ২০, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারি আইএলটি-২০ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এসএ২০ লিগের ফাইনাল।

যার ফলে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হলে বিপাকে পড়ে যেতো ক্রিকেট বোর্ডগুলো। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফরম্যাটের ভিন্নতার কারণে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি হতে পারে। এদিকে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হলে অন্তত সপ্তাহ দুয়েক প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাবেন ক্রিকেটাররা।
জিও নিউজ ও ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ভেন্যু হিসেবে আইসিসিকে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম আর রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি স্টেডিয়ামের নাম প্রস্তাব করেছে পিসিবি। টুর্নামেন্টের কয়েকমাস বাকি থাকলেও স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরো আসর পাকিস্তানে হবে কিনা তা নিয়ে খানিকটা শঙ্কা রয়েছে। কারণ ভারত সরকার সবুজ সংকেত না দিলে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে নাও যেতে পারেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। যদিও পুরো আসরে নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে মরিয়া পিসিবি। এজন্য বিসিসিআইয়ের যেকোন প্রস্তাব মেনে নিতেও রাজি আছেন তারা।