|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ডাউন দ্যা উইকেটে ছক্কা মারা নিয়ে তামিম ইকবাল একবার জানিয়েছিলেন যে তিনি বোলার দেখে খেলেন না, বরঞ্চ বলের গুণাগুণ বুঝে খেলেন। লম্বা সময় পর সেই কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের 'জুনিয়র' তামিম অর্থাৎ তানজিদ হাসান তামিম।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে আছেন তামিম। লিটন দাস-সৌম্য সরকারদের ভিড়ে টপ অর্ডারে জায়গা নাও হতে পারে এই ওপেনারের। তবে সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা দিতে বদ্ধ পরিকর তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশিত ভিডিওতে তরুণ এই ওপেনার বলেন, 'আমার সবসময় ইন্টেন্ট থাকে ইতিবাচক। আমি কখনো বোলার দেখে খেলি না, বলটা দেখে খেলার চেষ্টা করি। বলের মেরিট বুঝে খেলার চেষ্টা করি। চেষ্টা থাকবে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করার। আমি কখনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগাই না, আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার চেষ্টা করি। সবসময় বর্তমানে থাকার চেষ্টা করি।'

'চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিয়ে দলে অবদান রাখার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে যেটা বলব..আগে যা বলেছি বিশ্বকাপ খেলা একটা ভাগ্যের বিষয়। সেদিক থেকে আমি অবশ্যই ভাগ্যবান আলহামদুলিল্লাহ। চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে টিমকে সেরা কিছু দেয়ার।'

ভারতের মাটিতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও ছিলেন তামিম। সেই আসরে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি টাইগার এই ওপেনার। পুরো আসরে ৯ ইনিংসে ১৪৫ রান করতে পেরেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

এরমধ্যে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংসটিই ছিল তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সেটিই ছিল একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। তবে দেশের বাইরে একটি বিশ্বকাপ খেলে অনেককিছুই শিখতে পেরেছেন বলে দাবি করছেন তিনি।

তামিম আরও বলেন, 'বিশ্বকাপ খেলাটা একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা অনেক ভাগ্যবান ছিলাম যে বিশ্বকাপ খেলতে পেরেছি। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে, হয়ত আমি নিজে পারফর্ম ভালো করতে পারি না, দেশকে ভালো কিছু দিতে পারিনি।'

'তবে যে জিনিসটা আমি দুই বছর পরে শিখতাম। সে জিনিসটা আমি দুই বছর আগে বিশ্বকাপ খেলার কারণে শিখেছি। সেখানে অনেক বড় বড় প্লেয়ার ছিল। তাদের অনেক কিছু দেখেছি। তাদের ম্যাচিউরিটি লেভেল দেখেছি যে জিনিসটা আমার পরবর্তী লেভেলে অনেক সাহায্য করবে।'