হায়দরাবাদকে উড়িয়ে সবার আগে ফাইনালে কলকাতা

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পুরো মৌসুম জুড়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের ভয় ধরালেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা ছিলেন মলিন। রাহুল ত্রিপাঠির হাফ সেঞ্চুরি ও হেনরিখ ক্লাসেনের ৩২ রানের পরও মিচেল স্টার্ক ও বরুণ চক্রবর্তীর দারুণ বোলিংয়ে ১৫৯ রানে আটকে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় বাড়তি কিছু করার প্রয়োজন ছিল কলকাতার ব্যাটারদের।
যদিও শুরু থেকেই হায়দরাবাদ বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেছেন কলকাতার দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সুনীল নারিন। গুরবাজ ২৩ রানে ফেরার পর নারিনও আউট হয়েছেন ২১ রানে। দলীয় ৬৭ রানে দুই উইকেট হারালেও কলকাতাকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কেটেশ আইয়ার। তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় তারা। হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়ে সবার আগে ফাইনালে উঠে গেল কলকাতা।

আহমেদাবাদে জয়ের জন্য ১৬০ রান তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন গুরবাজ ও নারিন। ইংল্যান্ডের ওপেনার ফিল সল্ট দেশে ফিরে যাওয়ার পর একাদশে সুযোগ পেয়েছেন গুরবাজ। গত ম্যাচে সুযোগ পেলেও বৃষ্টির কারণ কোন বল মাঠে গড়ানো ছাড়াই ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। এদিন অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে প্যাট কামিন্স ও ভুবনেশ্বর কুমারদের বিপক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলার খেলার চেষ্টা করেছেন গুরবাজ।
যদিও আফগানিস্তানের এই ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেননি থাঙ্গারাসু নাটারাজন। বাঁহাতি এই পেসারের বলে কভারের উপর দিয়ে সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। তবে ব্যাটের নিচের অংশে লাগায় বল চলে যায় কভারে থাকা বিজয়াকান্ত বিশ্বকান্তের হাতে। সহজ ক্যাচ লুফে নিলে ১৪ বলে ২৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ফিরেছেন নারিনও। কামিন্সের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে বিজয়াকান্তকে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ রান করা এই ওপেনার।
৬৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শ্রেয়াস ও ভেঙ্কেটেশ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯৭ রান। ম্যাচ জেতার আগে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ভেঙ্কেটেশ। আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ২৩ বলে। ৮ উইকেটের জয়ের দিনে ভেঙ্কেটেশ ৫১ এবং কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। হায়দরাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও নাটারাজন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন পুরো আসরে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে হায়দরাবাদকে দারুণ শুরু এনে দেয়া হেড ও অভিষেক। মাঝে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেও ৫৫ রানের ইনিংস খেলা ত্রিপাঠি ফিরেছেন রান আউট হয়ে। ক্লাসেন ৩২ এবং শেষ দিকে অধিনায়ক কামিন্সের ৩০ রানের ইনিংসে ১৫৯ রান তোলে তারা। কলকাতার হয়ে স্টার্ক তিনটি এবং বরুণ নিয়েছেন দুটি উইকেট।