নির্বাচকদের পায়ে ধরিনি তাই দলে সুযোগ পাইনি: গম্ভীর

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চাঁছাছোলা বক্তব্যের জন্য প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হন গৌতম গম্ভীর। এক সময় ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই ওপেনার। দেশটির হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তার। দুটি বিশ্বকাপেই ব্যাট হাতে ভারতের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন গম্ভীর।
২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৫৪ বলে ৭৫ রান। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতি সামলে করেছিলেন ৯৭ রান। ক্যারিয়ারে অনেক সাফল্য পেলেও শুরুর দিকটা সহজ ছিল না গম্ভীরের।

তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার পেছনে বড় অবদান থাকে নির্বাচকদের। প্রতিভা থাকলেও গম্ভীরের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং নির্বাচকরাই। সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ইউটিউব পডকাস্টে এই সাবেক ভারতীয় ওপেনার জানিয়েছেন সেই কঠিন সময়েও কারো সঙ্গে আপোষ করেননি তিনি।
গম্ভীর বলেন, ‘আমি তখন খুব ছোট, ওই ১২ বছর বয়স হবে, তখন প্রথমবার অনূর্ধ্ব ১৪ প্রতিযোগিতায় চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমাকে দলে নেয়া হয়নি কারণ আমি নির্বাচকের পা ধরিনি। সেদিন থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি কোনোদিন কারো পা যেমন স্পর্শ করব না, তেমন আমি কাউকে আমার পাও ছুঁতে দেব না।’
গম্ভীর বেশ বিত্তশালী পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। বাবার বড় ব্যবসা ছিল। অনেকে তাকে ক্রিকেট ছেড়ে বাবার ব্যবসায় যোগ দিতে বলতেন। গম্ভীর অবশ্য এসব ভ্রূক্ষেপ করেননি। তিনি চেয়েছিলেন নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে সবাইকে জবাব দেবেন।
সেই সময়ের কথা স্মরণ করে এই ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি যখনই আমার ক্যারিয়ারে কখনও ফেল করতাম, সেটা অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯ হোক অথবা রঞ্জি ট্রফি, সকলেই আমায় বলত এত ভালো পরিবার থেকে উঠে এসেছো, তোমার ক্রিকেট খেলার দরকার নেই। তোমার হাতে এত বিকল্প আছে, বাবার ব্যবসায় যোগ দাও।'
এই সাবেক ওপেনার আরও বলেন, 'মানুষ বুঝতে পারত না যে, আমি তাদের থেকে অনেক বেশি ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধ। মানুষের ওই চিন্তাধারাকে বদলাতে চেয়েছিলাম, এখন যখন আমি সেটা করতে পেরেছি, বাকি আর কিছুই যায় আসে না। আমার কাছে সব থেকে কঠিন ছিল, কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সেই চিন্তাধারা বদলানো।’