টানা ৫ জয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন টিকে থাকল বেঙ্গালুরুর

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেটে ১১০ রান করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শেষ দশ ওভারে করে ৭ উইকেটে ৭৭ রান। যদিও ১৮৭ রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে কষ্ট হয়নি দলটির। বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন ভালোভাবেই জিইয়ে রেখেছে ফাফ ডু প্লেসির দল। গত পাঁচ ম্যাচে একটানা পাঁচ জয় পাওয়া দলটি পয়েন্ট টেবিলে আছে ৫ নম্বরে। এখনও একটি ম্যাচ বাকি তাদের। ১২ পয়েন্ট পাওয়া দলটির শেষ চারে উঠতে হলে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। পাশাপাশি অন্যান্য দলের পারফরম্যান্সেও নজর রাখতে হবে তাদের।
১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই 'ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার' হিসেবে ডেভিড ওয়ার্নারকে নামায় দিল্লি। গত চার ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসে থাকা এই ওপেনার এ দিন ফিরে যান চতুর্থ বলেই। স্বপ্নিল সিংয়ের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লং অনে উইল জ্যাকসে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ১ রান করে ওয়ার্নার বিদায় নিলে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান তুলতে আরও চার উইকেট হারায় দিল্লি।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক এ দিন আট বলে দুটি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। রানআউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ৩.৩ ওভারের মধ্যে দ্রুত চার উইকেট হারানো দলটির হয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শাই হোপ ও অক্ষর প্যাটেল।

এই দুজনের ৫৬ রানের জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন। কার্ন শর্মার দারুণ একটি ক্যাচে বিদায় নেন ২৩ বলে ২৯ রান করা হোপ। এই জুটি ভাঙার পর আর সুবিধা করতে পারেনি দিল্লি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে দলটি থামে ১৯.১ ওভারে, ১৪০ রান করে।
দুবার স্লো ওভার রেটের কারণে অভিযুক্ত হওয়া ঋষভ পান্ত ম্যাচটি খেলেননি। তার জায়গায় নেতৃত্ব দেয়া অক্ষর দলটির হয়ে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। তবে এই রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। বেঙ্গালুরুর হয়ে ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ইয়াশ দয়াল। ২৩ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ফার্গুসন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বিরাট কোহলির সৌজন্যে উড়ন্ত সূচনা পায় বেঙ্গালুরু। যদিও চতুর্থ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় দলটি। লাল-নীল শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুকেশ কুমার। ৭ বলে ৬ রান করা ফাফ ডু প্লেসিকে বিদায় করেন তিনি।
এর এক ওভার পর ইশান্ত শর্মার গুড লেংথের ডেলিভারি কোহলির ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক অভিষেক পোরেলের তালুবন্দী হয়ে যায়। একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৩ বলে ২৭ রান করেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি।
তারপর ৮৮ রানের জুটি গড়েন উইল জ্যাকস এবং রজত পতিদার। এই জুটি ভাঙেন রাসিখ সালাম। ৩২ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫২ রান আসে রজতের ব্যাটে। ঠিক এক ওভার পর বিদায় নেন জ্যাকসও। রজতের মতোই কাভারে অক্ষর প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ২৯ বলে ৪১ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান কুলদিপ যাদব।
দিল্লির বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সামনে শেষদিকে তেমন সুবিধা করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ক্যামেরন গ্রিনের ২৪ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দুইশ'র কাছাকাছি যায় তাদের ইনিংস। দিল্লির হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রাসিখ এবং খলিল আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন ইশান্ত, মুকেশ এবং কুলদিপ যাদব।