পুরান-ক্রুনালের ঝড়ের পর যাদব-মহসিনের তোপে জিতল লক্ষ্ণৌ

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ছুঁড়ে দেয়া ২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শিখর ধাওয়ান এবং জনি বেয়ারস্টোর উদ্বোধনী জুটিতে ১১.৪ ওভারে ১০২ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু তারপরই ধ্বসের শুরু। মায়াঙ্ক যাদব এবং মহসিন খানের নিয়ন্ত্রিত পেস বোলিংয়ের সামনে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি দলটি। ফলে ২১ রানের ব্যবধানে জিতে যায় লক্ষ্ণৌ। এবারের আইপিএলে এটাই লোকেশ রাহুলের দলের প্রথম জয়। অপরদিকে তিন ম্যাচের দুটিতেই হারল পাঞ্জাব কিংস।
১২ ওভারের চতুর্থ বলে বেয়ারস্টোকে ফেরান যাদব। ২১ বছর বয়সী তরুণ এই পেসারকে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে বিদায় নেন ২৯ বলে ৪২ রান করা বেয়ারস্টো। নিজের পরের ওভারে ৭ বলে ১৯ রান করা প্রভসিমরান সিংকেও ফেরান যাদব।
তারপরের ওভারে জিতেশ শর্মাকেও টিকতে দেননি এই পেসার। ৯ বলে ৬ রান করা এই উইকেটরক্ষক যাদবকে মিড উইকেটে হাঁকাতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেট অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন। প্রভসিমরানের ক্যাচটির মতো এটিও লুফে নেন নাভিন উল হক। এই তিন জনই ফিরে যান যাদবের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে। ম্যাচে ১৪৫ কিমি গতিবেগ থেকে ১৫৫ কিমি গতিবেগে একাটানা বোলিং করতে দেখা যায় অভিষিক্ত এই পেসারকে।

এরপর অবশ্য স্কোরবোর্ডে আর দুই রান যোগ হতে ফিরে যান ধাওয়ানও। ৫০ বলে ৭০ রান করে মহসিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। তারপরের বলে স্যাম কারানকে বিদায় করেন মহসিন। ১৪১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পাঞ্জাব।
লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ বলে ২৮ এবং শশাঙ্ক সিং ৭ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাঞ্জাব থামে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে। অসাধারণ পেসে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন যাদব।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে পাঞ্জাবের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন লোকেশ রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক। যদিও ৯ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান রাহুল। আর্শদিপ সিংয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন এই ওপেনার।
তিনে নামা দেবদূত পাড়িকালও সুবিধা করে পারেননি। স্যাম কারানের শিকার হওয়ার আগে ৬ বলে করেন ৯ রান। তারপর মার্কাস স্টইনিসকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন ডি কক। দলীয় ৭৮ রানে রাহুল চাহারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান স্টইনিসও।
১২ বলে ১৯ রান করে এই অজি অলরাউন্ডার। তারপর নিকোলাস পুরান এসে হাত খুলে খেলতে থাকেন। হাফ সেঞ্চুরির পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি ডি কক। আর্শদিপের বলে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাটে।
শেষদিকে পুরান এবং ক্রুনাল পান্ডিয়ার ঝড়ে দুইশ ছুঁই ছুঁই রান করে লক্ষ্ণৌ। কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২১ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪২ রান করেন পুরান। ২২ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রুনাল।
পাঞ্জাবের হয়ে ২৮ রান খরচা করে তিনটি উইকেট নেন কারান। ৩০ রান খরচায় লক্ষ্ণৌর দুই ওপেনারের উইকেট নেন আর্শদিপ।