অপুর ঘূর্ণিতে জয়ে ফিরলো প্রাইম

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু সবশেষ দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখে দলটি। অবশেষে নাজমুল হোসেন অপুর নৈপুণ্যে জয়ে ফিরলো দলটি। নিজের প্রথম ওভার থেকেই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে চেপে ধরেন এই স্পিনার। দলটির টপ অর্ডারের চার ব্যাটারসহ একাই পাঁচ উইকেট তুলে নিলে ১৬৫ রানে থামে মাশরাফি মর্তুজার দল। জবাবে পারভেজ হোসেন ইমন ও তামিম ইকবালের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটের জয় পায় দলটি।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে এদিন তামিমের বদলে টস করতে নামেন শেখ মেহেদি। টস জিতে রূপগঞ্জকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এরপর দিনের শুরুতেই দলটিকে বিপাকে ফেলেন প্রাইমের স্পিনার অপু। আগের ম্যাচে ৮২ রানের ইনিংস খেলা তৌফিক খান তুষারকে এদিন মাত্র ২ রানে ফেরান এই স্পিনার। ম্যাচের ষষ্ট ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন অপু।
প্রথমে আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জামানকে ১৯ রানে ফেরান। এরপর উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মভাবে খেলতে থাকেন আগের দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা শামীম পাটোয়ারি। প্রথম দুই বলেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা ও চার হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে আবারো বড় শট খেলতে গেলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শামীম। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও ৫ রানে ফেরান অপু।

এদিন অধিনায়ক শুভাগত হোম ফেরেন মাত্র ১৪ রানে। ফলে ৬৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এরপর উইকেটে আসা মাশরাফিকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। কিন্তু এদিন ২৪ বলে মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফিরেছেন মাশরাফি। বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে উইকেটে থিতু হয়ে ৯৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিপ্লব।
তাকে সঙ্গ দিতে আসা শহীদুল ইসলাম করেছেন ২১ রান। এ ছাড়া আর কেউ বিপ্লবকে যোগ্য দিতে পারেনি। সবশেষ ৫৫ রান করা বিপ্লবকে থামান রুবেল। এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে গেলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এদিন প্রাইমের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট পেয়েছেন অপু। অলক কাপালি ও রুবেল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পেয়েছেন মেহেদি।
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন ওপেনিং করেননি তামিম। এদিন মৌসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আসেন মেহেদি। কিন্তু এদিন দলটির হয়ে কোনো ব্যাটরই নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। আগের রাউন্ডে সেঞ্চুরি করা ইমন এই ম্যাচে করেছেন ২২ রান। এরপর মেহেদি ফিরেছেন ১৬ রানে।
তিনে নামা তামিম করেছেন ৪০ বলে ৩৫ রান। এরপর সাব্বির রহমান ২৮ ও মোহাম্মদ মিথুন ১২ রানে ফিরলেও প্রাইমকে চাপে পড়তে হয়নি। এদিন রূপগঞ্জের হয়ে ব্যাটিং করলেও বল করেননি মাশরাফি। সবশেষ নাইম ইসলাম ২৮ রান ও কাপালি ২১ রান অপরাজিত থাকলে ১৫.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি। রূপগঞ্জের হয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন শহীদুল, একটি করে উইকেট পেয়েছেন শুভাগত ও সুমন খান।