আপনারাও চান আমি দেশের হয়ে লম্বা সময় খেলি: সাইফউদ্দিন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাসুমের শেষের ঝলকে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখলো মোহামেডান
২৬ এপ্রিল ২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর শুরুর আগে আলোচনাতেই ছিলেন না মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইনজুরি থেকে পুরোপুরি ফিট হয়ে বিপিএলের মাঝপথে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাঠ মাতিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ডাক না পেয়ে আবারও আলোচনার জন্ম দেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। যদিও দলে না থাকতে পেরে আফসোস নেই তার। প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলে আবারও দলে ফিরতে চান তিনি।
বিপিএল চলাকালীনই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। যেখানে সুযোগ পাননি সাইফউদ্দিন। যদিও সে সময় আলোচনায়ও ছিলেন না তিনি। পরবর্তীতে টানা ৯ ম্যাচ খেলে সাইফউদ্দিন শিকার করেন ১৫ উইকেট।
বিশেষ করে ডেথ ওভারে তার দারুণ বোলিং নজর কেড়েছে সকলের। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানান, চোট কাটিয়ে ফিরে সাইফউদ্দিন বিপিএলে অসাধারণ পারফর্ম করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে নিয়ে এখনই ঝুঁকি নিতে চায় না দল।

এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সাইফউদ্দিন বলেন, 'মন্তব্য নেই আসলে। আসলে আমি খেলতে চাই। আপনারা যারা আছেন, তারাও চান আমি লম্বা সময় দেশের হয়ে খেলি। হয়তবা তখন একটু আর্লি (তাড়াতাড়ি) হতো। বিসিবি যেটা ভালো মনে করেছে ওটাই করেছে। অনেক হাই-ইন্টারসেটিভ (বিপিএল ফাইনাল) ম্যাচ খেলে যদি সুযোগ পেতাম এটা হয়ত আমার জন্য কষ্ট হয়ে যেত।'
বাংলাদেশ সফরের সময় হতে পারে আইপিএল, সিরিজ বাতিলের খবর নেই বিসিবির কাছে
২০ মিনিট আগে
'এর আগে অন্যান্যরা এক সপ্তাহের মতো বিশ্রাম পেয়েছে, শরিফুল ভাইরা। আমরা যারা কোয়ালিফায়ার বা ফাইনাল খেলেছি (তাদের জন্য কষ্ট হয়ে যেত)। ওরা হয়ত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নেয়নি। এখন আমি চেষ্টা করব সেরাটা দেয়ার। যেহেতু আবাহনীর হয়ে খেলছি, এখানে ভালো করলে সামনে সুযোগ আসবে। যেহেতু অনেক সিরিজ আছে। অনেক বেশি তাড়াহুড়ো করতে চাই না।'
বিপিএলে বরিশালের শিরোপা জয়েও বড় ভূমিকা রেখেছেন সাইফউদ্দিন। আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও ইমপ্যাক্টফুল ক্রিকেটার হতে চান এই অলরাউন্ডার। ডিপিএলে ভালো খেলে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে চান তিনি।
সাইফউদ্দিন বলেন, 'আবাহনী সবসময় আমাকে অনেক হাই রেট (মূল্যায়ন) করে। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বা সবচেয়ে বেশি রান করার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কতোটা ইমপ্যাক্ট (প্রভাব বিস্তার করতে) ফেলতে পারছেন। কঠিন সময়ে পাঁচ-দশ বলে ১৫-২০টা রান বা কঠিন সময়ে ১-২টা উইকেট পাওয়া।'
'আমি এটাতে খুব খুশি। যদি দলের জয়ে অবদান রাখতে পারি তাহলে। আমি আসলে ইমপ্যাক্টফুল প্লেয়ার হতে চাই। যেটা আমি আবাহনীতে আগেও করেছি। এই বছরও লক্ষ্য একই থাকবে।'