ড্রেসিংরুমের কেউ ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য খেলে না: শান্ত

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

গলে ম্যাচের তিনটা ফলাফলে সম্ভাবনাই ছিল। উইকেট বিবেচনায় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা যেমন ছিল তেমনি শ্রীলঙ্কারও সুযোগ ছিল। তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফলটা ছিল ড্র। বাংলাদেশের জন্য হেরে যাওয়াটা একটু কঠিনই ছিল। এমন অবস্থায় সকালের শুরুতে সফরকারীরা কেমন অ্যাপ্রোচে ব্যাটিং করে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আগের দিনের বিকেলের মতো শান্ত ও মুশফিক মিলে দেখেশুনেই ব্যাটিং করছিলেন। মাঝে বৃষ্টি হানা দিয়ে ম্যাচের ফল ড্রয়ের দিকেই ঠেলে দেয়।
আবারও আঙুলে চোট, পর্যবেক্ষণে শান্ত
৫ ঘন্টা আগে
বৃষ্টি শেষে শান্ত সেঞ্চুরি করে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন। জিততে হলে দিনের বাকি ৩৭ ওভারে ২৯৬ রান করতে হতো শ্রীলঙ্কাকে। অর্থাৎ ওভারপ্রতি ৮ রান করতে হতো স্বাগতিকদের। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট। টেস্ট এবং পঞ্চম দিনের উইকেটের বিবেচনায় সমীকরণটা শ্রীলঙ্কার জন্য কঠিনই। প্রত্যাশিতভাবেই শ্রীলঙ্কা জয়ের জন্য যায়নি। তবুও শেষ বিকেলে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম ও তাইজুল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে বাংলাদেশ আরও একটু আগে ইনিংস ঘোষণা করলে অল আউট করা সম্ভব হতো লঙ্কানদের।

বেশিরভাগের ধারণা, মুশফিক ও শান্ত নিজেদের ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্যই ঝুঁকি নেয়নি। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শান্ত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি যেটা বলতে চাই, আমি এটার নিশ্চয়তা দিতে পারি এই ড্রেসিংরুমে কেউ ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য খেলে না। মুশফিক ভাই এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন, ওই এক রান নিয়ে আমার মনে হয় না উনি অনেক বড় কিছু অর্জন করে ফেলতেন। উনি আমাদের দলের জন্য কত কিছু করেছেন এটা আমরা সবাই জানি। সুতরাং আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বৃষ্টির কারণে ওই পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি সত্যি বলতে।’
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টের দলে ২ পরিবর্তন
৫ ঘন্টা আগে
ড্রেসিংরুমের অবস্থা না জেনে এসব মন্তব্য না করাই ভালো বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি একটা জিনিস বলবো যার যার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সবাই তার মত দিতে পারেন। এটা নিয়ে কোনো অসুবিধা নাই। যার যার জায়গা থেকে মনে হতেই পারে ইনিংস ঘোষণা করা উচিত ছিল বা আরেকটু ঝুঁকি নেয়া উচিত ছিল। এটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার মনে হয় না কেউ না জেনে বা ড্রেসিংরুমের পরিবেশটা না বুঝে কেউ সরাসরি বলতেছে ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য খেলেছে। এই জিনিসটা আসলে না বলাটা আমার মনে হয় ভালো কারণ আমি তো আসলে জানি না যে ওই মানুষটার মধ্যে আসলে কি আছে, সে কি দলের জন্য খেলছে নাকি সে নিজের জন্য খেলছে।’
গলের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিন পর্যন্ত উইকেটে ব্যাটারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকবে এটা অনুমেয়ই ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। বেশ কিছু বড় টার্ন দেখা গেলেও ব্যাটারদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেনি। এজন্যই দ্রুতই ইনিংস ঘোষণার ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলাদেশ। পাশাপাশি তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজদের ছাড়া অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপ নিয়েও ভাবতে হয়েছে তাদের। তবে সফরকারীদের পরিকল্পনা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে গলের বৃষ্টি।
শান্ত বলেন, ‘উইকেটটা খুব বেশি একটা পরিবর্তন হচ্ছিল না পঞ্চম দিনে এসে। গল যেরকম আমরা সবসময় চিন্তা করি। ওই কারণে আমরা কিন্তু ওইভাবে ওই সময় ইনিংস ঘোষণা করতে পারিনি এবং পাশাপাশি বোলিং অ্যাটাকটা একটু অনভিজ্ঞ ছিল। আমার হাতে যদি তাসকিন বা মিরাজ থাকতো তাহলে হয়তো ভিন্ন একটা কম্বিনেশন হতো। কিন্তু যেই বোলাররা খেলেছে তারা দারুণ বল করেছে। শুধুমাত্র কন্ডিশনের কারণে আমরা ওই ঝুঁকি নিতে পারিনি। কিন্তু বৃষ্টি যদি না হতো হয়তো আমরা ভিন্ন পরিকল্পনায় যেতাম।’